কলকাতা: একদিকে তখন পাহাড়ে নতুন দল ঘোষণা করছেন অজয় এডওয়ার্ড৷ অন্যদিকে নাকতলায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্ছ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করছেন পাহাড়ের আরেক নেতা বিমল গুরুং৷ তাঁর সঙ্গী রোশন গিরি সহ আরও তিনজন৷ প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলল বৈঠক৷
আরও পড়ুন- ঘুমের মধ্যেই কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা, কাঁপল বাংলাদেশ
পাহাড়ে বিজেপি’র ঘাঁটি বেশ শক্ত৷ পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার ছিল গেরুয়া শিবির৷ তবে এবার তৃণমূলও খারাপ ফল করেনি৷ কিন্তু বদলে যেতে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনীতি৷ নতুন দল করতে চলেছে অনীত থাপা৷ জিটিএ-র নির্বাচনও হবে৷ পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে৷ এমতাবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাহাড়ি নেতাদের আগমন নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷
বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। কিন্তু নেত্রী এখন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি৷ আমি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শুধু বাংলা নয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন৷’
কিন্তু কেন কলকাতায় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে এলেন বিমল গুরুংরা? এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি পাহাড়ি নেতারা৷ বৈঠকের পর বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, তরাই, ডুয়ার্স সহ সংলগ্ন এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথাবার্তা হয়েছে জিটিএ নির্বাচন নিয়েও৷ পাহাড়ের পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়ে জিটিএ নির্বাচন হোক, এই দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে।