নয়াদিল্লি: বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে পুলিশের খাতায় ‘ফেরার’ বিমল গুরুং ও রোশন গিরির উপস্থিতি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে৷ রাজ্যের খাতায় পলাতক পাহাড়ের নেতারা কীভাবে বিজেপি নেতার সঙ্গে ছবি তোলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
২০১৭ সালের ১৫ অগস্ট শেষবার স্বাধীনতা দিবসের পতাকা তুলতে দেখা গিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে। এর পরই অশান্তির আগুন ছড়ায় পাহাড়ে৷ রোশন গিরিকে সঙ্গে নিয়েই গা ঢাকা দেন বিমল গুরুং। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলার পাশাপাশি লুক আউট নোটিশও জারি হয়।
পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানো, খুন, হিংসার শতাধিক মামলা দায়ের রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ফেরার থাকলেও মাঝে মধ্যেই নেপালি চ্যানেলের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষকে বার্তা দিয়েছেন গুরুং৷ গত লোকসভা নির্বাচনেও উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিল প্রাক্তন মোর্চা সুপ্রিমো। বেশ কয়েকবার গুরুং ফিরছে বলে পাহাড়ে পোস্টারও পড়েছিল। কিন্তু সশরীরে দেখা যায়নি গুরুংকে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এই দুই নেতার খোঁজে একাধিকবার পাহাড়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিমল গুরুং-এর কালিম্পঙের বাড়িতে গিয়েও খালি হাতে ফিরেছে পুলিশ৷
কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল এই দুই নেতা সিকিমে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন৷ এই খবর পেয়েই সিকিম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্য পুলিশ৷ কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি তাঁদের৷ আচমকা জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে বিমল-রোশনের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ নবদম্পতি ও নাড্ডার পাশে দাঁড়িয়ে বিমল-রোশনের হাসিমুখের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায়৷ যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘এতে অস্বস্তির কোনও কারণ নেই৷ বিমল গুরুং আমাদের জোটসঙ্গী। দলের নেতার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। সব বিরোধী নেতারাও ছিলেন। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও ছিলেন অনুষ্ঠানে।’ বিনয় তামাং-অনীত থাপারা মোর্চার দায়িত্ব নিলেও এখনও মোর্চার অন্দরে দু'টি গোষ্ঠী রয়ে গিয়েছে। বড় গোষ্ঠী বিনয়দের সঙ্গে থাকলেও গোপনে মোর্চার আর একটি গোষ্ঠী বিমল গুরুং-রোশন গিরির সঙ্গে রয়ে গিয়েছে।