বোলপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক-বিরোধী কাদা ছোড়াছুড়িতে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল হোক বা বিজেপি, ভোট পূর্ববর্তী রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলায় এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ। ভোটের আগে দলবদলের যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে শাসক শিবিরের আকাশে, তা কাটিয়ে দলের হাল ধরতে কোমর বেঁধে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই এদিন তীব্র আক্রমণ হেনেছেন গেরুয়া নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিজের প্রাক্তন দলকে ‘বড় ওয়াশিং মেশিন’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এসেছে তাঁর পাল্টা এই জবাব। উত্তরবঙ্গের নেতা বিমল গুরুং প্রসঙ্গে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে গিয়ে এদিন গেরুয়া নেতা বলেছেন, “তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করতেই বড় ওয়াশিং মেশিনে বিমল গুরুংও দেশদ্রোহী থেকে দেশপ্রেমী হয়ে গেল।”
এখানেই শেষ নয়, বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে এদিন একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। “মধ্যমগ্রামের পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের হত্যাকারী হিসেবে প্রতিপন্ন বিমল গুরুং”, বলেন তিনি। এই বিমল গুরুংকেই যে এক সময় দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে রাজ্য থেকে তৃণমূল বিতাড়িত করেছিল সে কথাও এদিন তারাপীঠের জনসভা থেকে স্মরণ করিয়ে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বস্তুত, এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার কিছু আগেই কালনার জনসভা থেকে বিদায়ী তৃণমূল নেতাদের এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।” এদিন সেই মন্তব্যেরও পাল্টা দিয়েছেন রাজীব বাবু। তাঁর কথায়, “আমি আজ দায়িত্ব নিয়ে বলে গেলাম, একটা দিন এমন আসবে দেখবেন যেদিন আপনার ওই গোয়ালে একটা গরুও থাকবে না”। সব মিলিয়ে বাংলার দুই যুযুধান রাজনীতিবিদের এই দ্বন্দ্বে এখন রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি।