আচমকা সল্টলেকের গোর্খা ভবনে ফেরার বিমল গুরুং

আচমকা সল্টলেকের গোর্খা ভবনে ফেরার বিমল গুরুং

কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশ৷ ২০১৭ সাল থেকে ফেরার ছিলেন তিনি৷ পুলিশ তাঁর গোপন ডেরার হদিশ পায়নি৷ অবশেষে সকলকে হতবাক করেই প্রকাশ্যে এলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ পঞ্চমীর বিকেলে  সল্টলেকের গোর্খা ভবনের সামনে উপস্থিত হন দেশদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত এই গোর্খা নেতা৷

এদিন প্রায় ২০ মিনিট গোর্খা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভিতরে ঢোকার অনুমতি পাননি বিমন গুরুং৷ ফলে গাড়ির ভিতরেই অপেক্ষা করছেন তিনি৷ গোর্খা ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখেন নিরাপত্তা কর্মীরা৷ বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলি রয়েছে, সেই অভিযোগগুলির ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল৷ এদিন সল্টলেকে গোর্খা ভবনে ঢুকতে চাইলেও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিধাননগর থানা পুলিশ৷ গেট খোলার চেষ্টা করছেন তাঁরা৷ গোটা বিষয়টি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানানো হচ্ছে৷

এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলে বিমল গুরুংকে নিয়ে চলছিল জল্পনা৷ তিনি নবান্নে যেতে পারেন বলেও চলছিল কানাঘুষো৷ পরে যানা যায় তিনি সল্টলেকের গোর্খা ভবনে যাচ্ছেন৷ গোর্খা ভবনে ঢুকতে চাইলে জানানো হয়, তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও অনুমতি নেই৷ তৃণমূল সরকারের সঙ্গে গুরুংয়ের সঙ্ঘাত কারও অজানা নয়৷ এই সঙ্ঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে দার্জিলিং ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা৷ এতদিন গা ঢাকা দিয়েই ছিলেন তিনি৷ তবে মাঝেমধ্যে গোপন আস্তানা থেকেই পাঠাতেন ভিডিও মেসেজ৷ এই সময় বিজেপি’র সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথাও উঠে আসে৷ তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া চলছে বলেও খবর রটে৷ দেড় বছর পর আচমকা গুরুংয়ের প্রকাশ্যে আসা সেই জল্পনাকেই উস্কে দিচ্ছে৷ তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি গুরুং৷ তিনি বলেন, যা বলার গোর্খা ভবনে ঢুকেই বলবেন৷

রাজ্য পুলিশ থেকে সিআইডি, দীর্ঘ দিন ধরে খোঁজ চালাচ্ছিল বিমল গুরুংয়ের৷ কিন্তু তাঁরা কোনও কিনারা পায়নি৷ অবশেষে আজ আচমকা সল্টলেকে উপস্থিত হন তিনি৷ এখানে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর৷  তবে বিমল গুরুংকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − nine =