দার্জিলিং: ভোট পরবর্তী হিংসা৷ দক্ষিণের পর এবার উত্তপ্ত উত্তর৷ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তাক্ত পাহাড়৷ একদিকে বিমল গুরুং অন্যদিকে বিনয় তামাং পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ৷ গতকাল রিংটন চা বাগান থেকে ফেরার পথে সোনাদায় বিমল গুরুংয়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিনয়পন্থী নেতা মহেন্দ্র প্রধানের বিরুদ্ধে৷ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিমল গুরুয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে৷
আরও পড়ুন- ‘বড় জমায়েত করবে না দলের তারকা’, সিদ্ধান্ত নিলেন অধীর
গতকাল বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়৷ এই ঘটনায় সোনাদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষ৷ দুই গোষ্ঠীরই ছয় থেকে সাতজন আহত হয়েছে৷ উভয়েই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ জানা গিয়েছে বিমল গুরুং –এর গাড়ি ভাঙচুর চালায় বিনয় তামাং গোষ্ঠীক কর্মীরা৷ এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে৷ প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিনি মাস অজ্ঞাতবাসে থাকার পর গত বছর দুর্গা পুজোর সময় আচমকা প্রকাশ্যে আসেন গুরুং৷ বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষা করেন তিনি৷ ফের ফেরেন পাহাড়ে৷ পাহাড়ের তিনটি আসনই গুরুং-এর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে দেয় তৃণমূল৷ ভোটের দিন অবশ্য বাহাড়ে থেকে সে ভাবে কোনও হিংসার খবর মেলেনি৷ মোটের উপর ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ৷ কিন্তু গতকাল রাতে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা৷
আরও পড়ুন- ইদের দিনে নির্বাচন? কমিশনে অভিযোগ মোর্চার
ভোটের দিন বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে বিমল গুরুং বলেন, আমরা গত ১৫ বছর বিজেপি’কে সমর্থন করেছি৷ কিন্তু ওঁরা আমাদের গোর্খা জাতির জন্য কী কাজ করেছেন? নরেন্দ্র মোদী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন৷ সাড়ে ছয়-সাত বছর আগে তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তা এখনও পূরণ হয়নি৷ তাঁর কথায়, বাংলায় বিজেপি’র প্রতি মানুষের সমর্থন নেই৷ গ্রাউন্ড জিরোতে বিজেপি’র কোনও প্রভাব নেই৷ বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না৷ এই ভাবে হিংসা, ভাঙচুর, গোলাগুলি করে রাজনীতি করা সম্ভব নয়৷ রাজনীতি সহজ, সরল হওয়া উচিত৷