কলকাতা: DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। মামলা দায়েের করলেন আইনজীবী তথা রাজ্য সভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। আগামী সোমবার সকালে মামলার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বামেদের যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার পর বেসরকারি হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এবং ভিডিওগ্রাফী করা হয়েছে।এই ঘটনার রাজ্যের নির্দেশে সিআইড’র পাশাপাশি তদন্তে জন্য সিট গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, নবান্ন অভিযানে মৃত্যু এবং নিখোঁজের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বামেরা। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিনদাল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান রাজ্য সভার সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের ছাত্র সংগঠন নবান্ন অভিযানে নির্বিচারে পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের কোতোয়ালি পুরের বাম সমর্থক মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু হয় এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশের এই লাঠি চালানো মানবাধিকার লংঘনের সামিল তাই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত গতকাল জানা গিয়েছিল, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য। লালবাজার সূত্রে খবর, মইদুলকে আহত অবস্থায় জানবাজারের একটি হোটেলের সামনে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারিকরা। কীভাবে জানবাজারের হোটেলের সামনে এলেন মইদুল। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে লালবাজার। নবান্ন অভিযানের দিনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে জানবাজারের ওই হোটেলের সামনে মইদুল পৌঁছলেন, তা খতিয়ে দেখবে ওই সাত সদস্যের তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে পুলিসের অতি সক্রিয়তার জন্যই DYFI কর্মী মুর্শিদাবাদ কতুয়ালির বাসিন্দা পেশায় অটো চালক মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু হয়েছে।