কলকাতা: খুব সম্ভবত একেই বলে মায়া৷ রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মায়ার বাঁধন যে কটতা গভীর, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন জেলে প্রাশনের শীর্ষ আধিকারিক৷ তবে সেই আধিকারিকের ভালোবাসার মায়াজাল কাটিয়ে প্রেমিকার টানে ঘরছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা শাসকের বিড়াল৷ গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ প্রিয় পোষ্য পুচু৷ প্রিয় পোষ্য বিড়াল নিখোঁজ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সহযোগিতার আর্জি অতিরিক্ত জেলাশাসকের৷ পুচুকে ফিরিয়ে দিতে পারলেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক দেবেন নগদ দু’হাজার টাকার পুরস্কার!
তবে, ‘স্বজন হারানো’র যন্ত্রণা থেকে অতিরিক্ত জেলা শাসকের ফেসবুক পোস্ট নেটিজেনরা অবশ্য অন্য চোখে দেখছেন৷ অতিরিক্ত জেলাশাসকের পোস্ট ইতিমধ্যেই সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল৷ পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন তিনি৷ ফেসবুক প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় করা হলেও অতিরিক্ত জেলা শাসকের কভার পেজে জ্বলজ্বল করছে সোফার উপর বসে থাকা বিবাগী পুচুর ছবি৷
জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘পুচু’র বয়স মাত্র দেড় বছর৷ কালীপুজোর পর থেকে নিখোঁজ৷ প্রিয় ‘পুচু’র নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতার থেকে সটান মেদিনীপুরে ছুটে যান তিনি৷ হন্যে হয়ে ‘পুচু’ খোঁজ শুরু করেন৷ কিন্তু, প্রিয় ‘পুচু’র খোঁজ না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নেন তিনি৷ আর তাতেই বেধেছে বিতর্ক৷
কিন্তু, হঠাৎ কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল ‘পুচু’? কেউ কি মেরে ফেলেছে? জানা গিয়েছে, এর আগেও একবার ঘর ছেড়েছিল ‘পুচু’৷ তবে, পরে নিজেই ফিরে এসেছিল৷ কিন্তু, এবার দিন চার ‘পুচু’র বেপাত্তা হওয়ার ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ৷ যদিও পশু চিকিৎসক জানাচ্ছেন, প্রেমের টানে ‘পুচু’ ঘর ছাড়তে পারে৷ গভীর প্রেমে পড়লে যা হয় আর কি! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রেমপর্ব মিটলে আপনে আপ ফিরবে সে৷ তবে, সময় লাগবে, এই যা৷ কিন্তু, প্রিয় পুচুকে যে চোখে এড়ান অতিরিক্ত জেলাশাসক৷ রয়েছে একরাশ ভালবাসা৷ মায়া৷ সেই মায়া কাটবে কীভাবে? যাঁদের বাড়িতে পোষ্য আছে, তাঁরাই জানে পোষ্যের মায়া কাকে বলে৷ বলছেন নেটিজেনদের একাংশ৷ সবাই চাইছে, ঘরের পুচু ঘরে ফিরুক আবার৷ আবার ঘরজুড়ে আপন মনে খেলতে থাকুন পুচু৷ চলুক খুনসুটি৷