কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, বিধানসভায় বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। নির্বাচনের পরে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়েছে শাসকদল এবং সেই ঘোষণা অনুযায়ী এবার বিধানসভায় গঠিত হওয়ার পথে বিধান পরিষদ। আজ সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আজ তিনি জানান, আগামী ৮ জুলাই বিধানসভায় পাস হতে চলেছে বিধান পরিষদ বিল। তার আগে রয়েছে রাজ্য বাজেট। সুতরাং বাজেট পেশের পর এই এই বিল পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বিধানসভা অধিবেশনের পূর্ণাঙ্গ সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুলাই। এর পরের দুই দিন ছুটি। তারপর দুদিন ধরে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক হবে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ৭ তারিখ পেশ করা হবে বাজেট। ঠিক তার পরের দিন বিধান পরিষদ বিল আসবে বিধানসভায়। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। উল্লেখ্য, দেশের সংসদে যেমন লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুটি কক্ষ থাকে, তেমনই রাজ্য আইনসভাতেও দুই কক্ষের নিয়ম আছে সংবিধানে। আইনসভার নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন- ক্রমশ উঠছে পর্দা, পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি দেবাঞ্জনের
এদিন আবার বিধানসভার সর্বদল বৈঠকে কার্যত অপ্রত্যাশিতভাবেই যোগ দেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সর্বদলীয় বৈঠক হয় যেখানে শাসকদলের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসু সহ অনেকে। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ আরো অনেকে। তবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকার পরেও সর্বদল বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।