সুন্দরবন: রাজ্যে ক্রমাগত বড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ তার উপর এখনও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় দগদগে উম্পুনের ক্ষত৷ এই অবস্থায় সুন্দরবন এলাকায় উম্পুন বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল বৃহত্তর গ্র্যাুজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)৷ আর্তদের হাতে অত্যাবশকীয় ত্রান সামগ্রী তুলে দিলেন সংগঠনের সদস্যরা৷
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে বিজিটিএ'র একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবনের কাকদ্বীপ থানার অন্তর্গত বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব থানগড়া, পালেরচক, দক্ষিণ থানগড়া, গুড়িয়াচক, রামকৃষ্ণচক গ্রামে উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেয়৷ বিজিটিএ'র যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা স্বপন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে চলে এদিনের কর্মসূচি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কমিটির সম্পাদিকা দীপান্বিতা সামন্ত, সভাপতি অসিত রঞ্জন মৃধা, নরেন রায় ও বিজিটিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পঞ্চানন মণ্ডল। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয় ত্রাণ বিতরণের কাজ৷
২০০টিরও বেশি পরিবারের হাতে এদিন ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২ কেজি আলু, দেড় লিটার সরষের তেল, ১ কেজি মুসুর ডাল, ৩০০ গ্রাম বিস্কুট, একটি করে থ্রি লেয়ার মাস্ক, সয়া বড়ির প্যাকেট এবং স্যানিটারি প্যাড। ত্রাণ বিতরণের পর স্বপনবাবু বলেন, ‘‘যখন করোনা সারা বিশ্বকে তছনছ করে দিচ্ছে, তখন বিধ্বংসী উম্পুন ঝড় সুন্দরবনের মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। অনেকেই অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বিজিটিএ এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব বৃহৎ শিক্ষক সংগঠন৷ আমরা মানবিক কারণেই এই কর্মসূচি নিয়েছি।’’ এর আগে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিজিটিএ'র পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ এছাড়াও বিজিটিএ-র পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় সরাসরি ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, বিজিটিএ শিক্ষা-শিক্ষক (গ্রাজুয়েট) সম্পর্কিত বঞ্চনার বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করছে, তেমনি দুঃসময়ে রাজ্যের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতেও তাঁরা ভুলবে না৷
বিজিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজিটিএ শুধুমাত্র গ্র্যা্জুয়েট টিচারদের বেতন বঞ্চনা, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনি ও গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করছে না, আমরা আমাদের মানবিক দায়দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্যের কথা ভুলিনি৷ তাই সরকারের পাশাপাশি আমরাও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ কার্য চালিয়ে যাচ্ছি৷’’