বেতন বঞ্চনা বুকে আগলে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াল শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এর আগে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাধ্যমতো অনুদানও দিয়েছে। এবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তারা। জেলায় জেলায় অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে তারা। রবিবার হাওড়ার শ্যামপুরে দৈনন্দিন সামগ্রী তুলে দিল শিক্ষক সংগঠনটি। তবে এই মানবিক প্রচেষ্টার মধ্যেও বেতন বঞ্চনার কথা ভোলেনি বিজিটিএ। নিজেদের যথাযোগ্য সম্মান ফিরে পেতে বদ্ধ পরিকর তারা। তাদের সেই দাবিতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।

 

হাওড়া: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এর আগে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাধ্যমতো অনুদানও দিয়েছে। এবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তারা। জেলায় জেলায় অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে তারা। রবিবার হাওড়ার শ্যামপুরে দৈনন্দিন সামগ্রী তুলে দিল শিক্ষক সংগঠনটি। তবে এই মানবিক প্রচেষ্টার মধ্যেও বেতন বঞ্চনার কথা ভোলেনি বিজিটিএ। নিজেদের যথাযোগ্য সম্মান ফিরে পেতে বদ্ধ পরিকর তারা। তাদের সেই দাবিতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।

করোনা মহামারী  রুখতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষে সাহায্য চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ-র সদস্যরা। তাঁদের সমবেত প্রচেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য করেছে বিজিটিএ। এবার আমফান অধ্যুষিত এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে ওই সংগঠনটি। রবিবার হাওড়া জেলার শ্যামপুর ব্লকের আমবেড়িয়া, বারাসাত, ডিঙ্গাকোলা, দেউলি ও শীতলপুর গ্রামের প্রায় ৮৫ জনেরও বেশি পরিবারের হাতে দৈনন্দিন সামগ্রী তুলে দিয়েছে তারা। ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সর্ষের তেল, মুসুর ডাল, সোয়াবিনের প্যাকেট, আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো,বিস্কুট ও সাবান। এই মানবিক উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর ব্লক সম্পাদক শামসুদ্দিনবাবু, সভাপতি অনিরুদ্ধবাবু, কোষাধ্যক্ষা মধুশ্রী মান্না, হাওড়া জেলা সহ-সভাপতি অসীমবাবু, উলুবেড়িয়া ব্লক সম্পাদক স্বপন বাবু প্রমুখ। শুধু হাওড়া জেলাতেই নয়। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি জেলার আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ।

করোনা হোক কিংবা আমফান। অসহায় মানুষের পাশে সবসময় বিজিটিএ রয়েছে। কিন্তু তারাই গত প্রায় দু'দশক ধরে বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন। সংগঠনের হাওড়া জেলা সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, আমরা আমাদের মূল দাবির পাশাপাশি সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, বিজিটিএ এমন এক শিক্ষক সংগঠন, যারা মানবিকতার পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি আদায়ে দৃঢ় ভাবে সংগ্রাম করে চলেছে। এমনকী, নিজেদের সম্মান ফিরে পেতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 2 =