কলকাতা: পেশায় শিক্ষক৷ কিন্তু রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে আবিষ্কারের নেশা৷ সেই টানেই করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু প্রাসঙ্গিক আবিষ্কার করে ফেলেছেন নদীয়ার শিক্ষক শুভময় বিশ্বাস৷
করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু এখনও মেলেনি সফলতার সূত্র৷ যে ভাবে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলে নদীয়ার হাসখালির বাসিন্দা শুভময় বিশ্বাস৷ এই উদ্বেগ থেকেই চিন্তাভাবনার শুরু৷ তিনি ঠিক করেন এমন একটা কিছু বানাতে হবে, যা পুরো শরীরকে স্যানিটাইজ করতে পারে৷ সেই লক্ষ্যেই এগোতে থাকেন তিনি৷ প্রায় আড়াই মাস ধরে অক্লান্ত চেষ্টায় তিনি তৈরি করে ফেলেন সোলার ইনফ্রা অটোমেটিক স্যানিটাইজার (SIAS) যন্ত্র৷ যা কোনও রকম ক্ষতি না করেই সম্পূর্ণ শরীরকে স্যানিটাইজ করতে পারে৷ সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভাইরাস বিনাশ করতে সক্ষম এই যন্ত্র৷ এর মধ্যে রয়েছে ভয়েস ডিভাইসও৷
এই যন্ত্রের কাছাকাছি এলেই নিজের শরীর স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেবে এটি৷ লিথিয়াম ব্যাটারি, ইনফ্রা গান ব্যবহার করে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন শুভময়৷ এছাড়াও তিনি বানিয়েছেন সোলার ইউভিসিটি কোভিড-১৯ টোটাল ডিসইনফেক্ট গেট৷ শুভময় জানান, এই গেটের মধ্যে প্রবেশ করলেই মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত স্যানিটাইজ হয়ে যাবে৷
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷ আর এই ছুটিকে কাজে লাগিয়েই একাধিক যন্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন শুভময়৷ করোনা বিরোধী লড়াইয়ে তাঁর অন্যতম অস্ত্র, নোবেল হাইব্রিড ডিস ইনফেক্টর যন্ত্র, পোর্টেবল ডিস ইনফেক্টর গান, অটোমেটিক নন টক্সিক স্যানিটাইজার, সোলার আল্ট্রাভায়োলেট সিটানেল গেট৷
শুভময় বলেন, তাঁর তৈরি যন্ত্র সাতটি ধাপে বাতাসের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রপলেটকে সম্পূর্ণ নষ্ট করতে পারে৷ যে কোনও ভাইরাসকে এটি মারতে সক্ষম৷ এমনকী আংটিং খাঁজে থাকা ভাইরাসকেও এটি নষ্ট করতে পারবে৷ এর আগে সোলার বাইক ও সেন্সর বাইক তৈরি করে তাক লাগিয়েছিলেন নদীয়ার এই শিক্ষক৷ তার সেই আবিষ্কারের জন্য সম্মানিতও হয়েছিলেন তিনি৷