কলকাতা: লাল গ্রহ নিয়ে বিশ্ববাসীর কৌতুহলের অন্ত নেই৷ মঙ্গলেও কি প্রাণ আছে? মানুষ কি থাকতে পারবে সেখানে? এমন না জানি আরও কত প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে৷ মঙ্গল নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাও৷ আবার চন্দ্রবিন্দুর গানেও উঠে এসেছে মঙ্গলের কথা৷ সে কথা বাঙালি জানে৷ কিন্তু তাঁরা হয়তো এটা জানেন না যে, এবার মঙ্গলে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার ঘরের ছেলে৷
হ্যাঁ, নাসা থেকে ডাক এসে গিয়েছে৷ নাসার বার্তায় লেখা আছে ‘নাও বোর্ডিং’৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আসছে বছর ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলে পৌঁছবেন শ্রীরামপুরের শৌনক৷ বৃহস্পতিবার সেই লাল গ্রহ নিয়ে আর্টেমিস প্রোগ্রামের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে। রোভার পারসিভেরেন্স পাড়ি দেবে মঙ্গল গ্রহে।
এই মিশনে তিনটি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে৷ যথাক্রমে জেজেরো ক্রেটার, এনই সারটিস এবং কলম্বিয়া হিলস। রোভার মিশনে উন্নত অ্যানালাইজারের মাধ্যমে নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। কি কি তথ্য পাওয়া গেল তা জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত।
পারসিভেরেন্স নিয়ে বিশ্ববাসীর মধ্যে বেশ উত্তেজনা রয়েছে৷ আর এই মিশনে প্রত্যক্ষ শরিক হলেন বঙ্গ-তনয় ‘গুগল গাইড’ শৌনক দাস৷ তাঁর বাড়ি শ্রীরামপুরে৷ গত বছর নাসা তাদের অফিসিয়াল সাইটে ঘোষণা করেছিল, মঙ্গল গ্রহে তারা কিছু নাম পাঠাবে। যাঁরা যাঁরা নাম পাঠাতে ইচ্ছুক, তাঁরা যেন আবেদন করেন৷ এর ভিত্তিতেই আবেদন করেন শৌনকও৷
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই আবেদন জমা পড়েছিল নাসার ঘরে৷ এর মধ্যে থেকে ১,০৯,৩২,২৯৫ জনের নাম বেছে নেওয়া হয়৷ তাঁদের সকলের নামই একটা মাইক্রো চিপে ঢুকিয়ে রকেটের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হবে। সেই চিপেই রয়েছে শৌনকের নাম। তাঁর নাম নির্বাচিত হওয়ার অত্যন্ত খুশি শৌনক৷ রয়েছে উদ্দীপনা৷ তিনি বলেন, ‘‘এ তো এক রকম মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার মতোই, তাই না! আমার দেহ শ্রীরামপুরে থাকলেও, নাম চলে যাচ্ছে সুদূর মঙ্গলে। বহুদিন ধরে এই সময়টার অপেক্ষায় ছিলাম।’’