রায়গঞ্জ: জাপানে চাকরি করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আতঙ্কে ফেসবুকে পোস্ট করলেন উত্তর দিনাজপুরের এক যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবক জানিয়েছেন, জাহাজে তিনি কর্মরত ছিলেন তার প্রায় ৬১ জন কর্মী ইতিমধ্যে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই জাহাজে থাকলে এই ভাইরাসের কবলে পড়তে পারেন তিনিও। এমন আশঙ্কাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের এলাকার বাসিন্দা বিনয় কুমার সরকার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় জাহাজে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করতেন বিনয় বাবু। চাকুলিয়া থানা হাতিপা এলাকার বাসিন্দা বিনয়বাবু তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকালকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন. যে জাপানের ইউকোহামা পোর্টে ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের একটি জাহাজে বর্তমানে তিনি কর্মরত রয়েছেন। তিনি ছাড়াও ওই জাহাজে আরো একশোর বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেবিন ক্রুরা কাজ করেন। তাদের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাসের কবলে পড়ছেন মানুষ। প্রথমদিকে সংখ্যাটা কম থাকলেও বর্তমানে ৬১ জনের রক্তের নমুনা এই ভাইরাসের চিহ্ন মিলেছে। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কোনও এক অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সমস্ত বিষয়টি দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কাছে সাহায্যের দাবি করেছেন। বর্তমানের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে তাদেরকে বাঁচাতে আরজি করেছেন।তিনি তার এই ফেসবুক পোস্ট কে নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরাও চাইছেন যেন যে কোনও উপায়ে তাদের পরিবারের ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারে এমন কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন করুক। যদিও বিনয় তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত তারা কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে জাহাজে যে কয়জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেবিন ক্রু রয়েছে তাদের মধ্যে বেশকিছু বাংলার লোক রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের এই ভাইরাসের দ্বারা আতঙ্কিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে।
এদিন বিনয় বাবুর দাদা শ্যামল সরকার বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিদেশের মাটিতে জাহাজে কাজ করে বর্তমানে কোন ভাইরাসের কারণে তাদের জাহাজের বেশিরভাগ লোকই এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। আমরা আবেদন করব, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই খবর জানার পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।