কলকাতা: ভাগ্যদেবী এখন শক্তির উপরেই সংস্থিতা! এখানে শক্তি মানে ডোমজুড়ের শক্তি দাস৷ মাস গেলে টেনেটুনে আয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা৷ হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ৷ ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদে হাতে নাগালে চলে এসেছে কড়কড়ে ১ কোটি টাকা৷ একটি লটারির সৌজন্যে কোটিপতি ডোমজুড়ের শক্তি দাস৷ অভাবের সংসার, বেসরকারি দুগ্ধ উৎপাদন সংস্থায় করেন হকারি৷ কারখানা থেকে দুধ নিয়ে দোকানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন৷ কাজে গেলে আয়, না হলে নয়৷ অভাবের সংসারে আকস্মিক খুশির হাওয়া বয়ে এনেছে একটি নটারির নম্বর৷
শক্তি ‘ডিয়ার’ লটারি জিতেছেন৷ যার অর্থমূল্য ১ কোটি টাকা৷ একটি টিকিটের নম্বর জীবনটাই যেন এক ঝটকায় পাল্টে দিয়েছে শক্তির৷ ‘তিন জনের সংসারে আমি মা, দাদা থাকি৷ দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ৷ টাকা হাতে পেলে প্রথমে একটা ভালো বাড়ি বানিয়ে নেব৷ মার স্বপ্ন ছিল, আমাদের একটা বাড়ি হবে৷ এবার সেই স্বপ্ন পূরণ করব৷ এখন আর কিছু মাথায় আসছে না৷’ মাথা নাড়িয়ে নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন শক্তি৷
হ্যাঁ, সেটাই তো স্বাভাবিক৷ কেননা, টাকার অঙ্ক তো আর ১ লক্ষ ২ লক্ষ নয়, লাফিয়ে ১ কোটি! বিপুল টাকা নিয়ে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি৷ টানাটানির সংসারে এখন নিশ্চিন্তে ঘুম৷ আর কী চাই বলুন তো? ১৪ বছর ধরে দুধের হকারি করছেন, এবার হোক না একটু বিশ্রাম৷ এতদিন যাঁরা এড়িয়ে চলত, লটারির খবরে তাঁরা এখনও কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন শক্তির৷ তবে, তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই৷ বরং গোটা বিষয়টি এখন বেশ উপভোগ করছেন তিনি৷
লটারির নেশা কোনও দিন ছিল না৷ লকডাউনের পর একদিন বাজারে হঠাৎ কপাল খোলার দৌড়ে নেমে পড়েন৷ তারপর এক কোটি টাকার লটারি বাঁধে শক্তির কপালে৷ পারে তিনি জানতে পারেন, তিনিই সেই ভাগ্যবান, যার টিকিটে ১ কোটি বেঁধেছে৷ শক্তি জানিয়েছেন, ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি৷ পরের দিন গিয়ে সব কাগজপত্র জমা করে এসেছি৷’