কলকাতা: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল স্বাস্থ্য দফতর৷ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ছে নানান অভিযোগ৷ এবার এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা সেরা বলে গর্বি অনুভব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করারও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বলেন, ‘‘করোনা মহামারীর মাঝেও অনেক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে৷ আমি গর্ব করে বলতে পারি, বেঙ্গল ইজ দ্য বেস্ট ফর হেলথ সিস্টেম৷ সেটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন৷ মানুষ আজ সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন৷ সেখানে সম্পূর্ণ বেড ভরে যাচ্ছে৷ সরকারি চিকিৎসা পাওয়ার জন্য৷ এখানে পরিষ্কার পরিছন্নতা, যতোটুকু পরিকাঠামো দরকার আমরা করছি, জানেন আপনারা৷ কেউ ম্যাজিশিয়ান নয়৷ আমরা কেউ হঠাৎ করে আকাশ থেকে কিছু পাইনি৷ এখনও পর্যন্ত অষুধ আবিস্কার হয়নি৷ নিজেদের নিজেদের মতো করে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন৷ অনেক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছেন৷ নতুন করে বলার কিছু অপেক্ষা রাখে না৷’’
করোনায় চিকিসৎসা কিংবা অন্য চিকিৎসা করাতে গিয়ে যখন নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ জনতা, উঠছে গুচ্ছ অভিযোগ, তখন নবান্নে থেকে আরও ৪ হাজার বেড বাড়ানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷ আজ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলেছি৷ যেমন, ডিসান হাসপাতাল জানিয়েছে, ওরা আরও ১টা বিল্ডিং বাড়াবে৷ কিছু বেড বাড়বে৷ ঢাকুরিয়া আমরিও বলা হয়েছে, ওরা তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করবে৷ অনেক বেড বাড়বে৷ অনেক হাসপাতাল বেড বাড়ানোর কাজ করছে৷ সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার-চার হাজার বেড বাড়বে যাবে৷’’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনায় সুস্থ হয়ে গেলে চিকিৎসকরা যেন ১৪ দিনের আগে ছেড়ে দেন৷ এর ফলে করোনায় বেডের সংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকবে৷ বাংলায় মোট এক হাজার জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বুধবার পর্যন্ত৷ তারমধ্যএ ৮১৫ জনের কোমবিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ কোমবিটি বলতে মূলত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, কিডনির রোগ ও ক্যানসার থাকলে ধরা হচ্ছে৷