কোচবিহার: দেশের মধ্যে একমাত্র শান্তিপূর্ণ রাজ্য বাংলা। বাংলার আইনশৃঙ্খলার নিয়ে যারা কথা বলে তারা একটু উত্তরপ্রদেশে কিংবা গুজরাট ঘুরে আসুন। সমালোচকদের এভাবে সপাটে মাঠের বাইরে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি দাবি করেন জেলারয় বেশ কিছু মানুষ গুণ্ডাগিরি করে অশান্তির চেষে্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন যারা অন্যলোককে সমালোচনা করেন তারা সবচেয়ে বেশি গুণ্ডামি করেন।
সীমান্ত এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর জন্য তিনি পরোক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেন। এছাড়াও বিএসএফের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন সীমান্তবর্তী এলাকা পর এলাকায় বিএসএফ ঢুকে হুমকি দেয়। এমনকি গণ্ডগোল পাকিয়ে গুলি করে সাধারণ মানুষ মেরে ফেলারও অভিযোগ তোলেন তিনি বিএসএফের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে দলীয় নেতাদের নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পুলিশকেও সতর্ক করার পাশাপাশি এদিন পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ শানান মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্তে পাচার নিয়েও সরব হন তিনি। পাচার বন্ধ করার বার্তাও এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি দলের সাংগঠনিক ঐক্যের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। কোচবিহারের জেলা সভাধিপতি অসুস্থ থাকায় তিনি প্রাক্তন সভাধিপতিকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে বলেন। দায়িত্ব বন্টন করার বার্তাও এদিন তিনি দেন। মমতা বলেন কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে দিয়ে জোর করে কাজ করানো উচিত নয়। বরং যারা রয়েছেন তাদের দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হবে। এর ফলে কাজ সেরে ফেলা সম্ভব হবে। বিষয়টিতে জেলাশাসককে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি। এবিষয়ে কোনও গাফিলতির অবকাশ নেই বলেও সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে যুবকদের কর্মসংস্থান প্রকল্পে হাঁস মুরগি পালন সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যার সমাধানের পথ বাতলান মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় ক্যাম্পবেল হাঁস ও সোনালি মুরগি প্রতিপালন নিয়ে উৎসাহ দেখান তিনি। তিনি বলেন পুজোর পরে বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করে এগোনো যেতে পারে।