কলকাতা: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র৷ গতকাল নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছিলেন, আম্পানের থেকেও ভয়াবহ হতে চলেছে যশ৷ ফলে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ফসলের বিরাট ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে কৃষকদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার৷ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- করোনা কেড়েছে মা-বাবা-ভাইকে! কোভিড-মুক্ত হয়েও সর্বহারা তরুণী
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সকল জমিতে একাধিক ফসল ফলে, সেই জমির ক্ষতি হলে রাজ্য সরকারের তরফে হেক্টর পিছু ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ তবে এক সফলি জমির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের টাকাও কিছুটা কম হবে৷ হেক্টর প্রতি কৃষকরা ৬ হাজার ৮০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ তবে পানের বরজ আর বাদাম জাতীয় ফসলের ক্ষতি হলে হেক্টর পিছু ১৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার৷
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ফসলের কতখানি ক্ষতি হচ্ছে, সে দিকে নজর রাখতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, ওই কন্ট্রোল রুমে ১২ জন অফিসার থাকবেন৷ রাজ্যে কোথায় কত ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ এর পরেই ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ প্রসঙ্গত, গত বথর আম্পানের দাপটে কাবু হয়েছিল গোটা বাংলা৷ বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ৷ সে বারেও প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছিল৷ সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই এবার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত’, দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াল যাদবপুর ব্যাঙ্কপ্লট
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, যে সকল জায়গায় বোরো ধান চাষ হয় সেখানে ধান ঘরে তুলে নিতে পেরেছেন কৃষকরা৷ কিন্তু দ্বিফসলি বা বহু ফসলি জমি নিয়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ মূলত তাঁদের জন্যই ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷