কলকাতা: ফের রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে জোর তরজা রাজ্যপালের। মঙ্গলবার রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। বললেন, “রাজনৈতিক সুপারি দিয়ে কিছু মানুষকে নিযুক্ত করা হয়েছে। যদি কোনও পুলিশ অফিসার এতটা অহংকারী হয়ে যান, তিনি ভাবেন, তিনিই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, আমি এটা সহ্য করতে পারব না।” রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পাল্টা দিলেন রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালকে তার কটাক্ষ, “উনি নিজেই তো কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজনৈতিক সুপারি নিয়ে এ রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন।”
বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দুয়ারে। রাজ্য রাজনীতির ময়দান ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত। তৃণমূল-বিজেপি তরজা চলছে জোড় কদমে। মাঝখান থেকে দুই দলেরই বিরোধিতা করছে বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু এমন অবস্থায় শাসকদলের সঙ্গে ‘নিরপেক্ষ’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সংঘাতও রয়েছে চরমে। দু’দিন আগেই রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক পদে হয়েছে বিরাট বদল। বদলেছে কলকাতা, হাওড়া, ব্যারাকপুর ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার। তাই নিয়েই মঙ্গলবার হাওড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজনৈতিক সুপারি দিয়ে ওদের নিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ওদের বলেছি আগুন নিয়ে না খেলতে।”
রাজ্যপালের এই কথার ঘোর বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, “অত্যন্ত কুরুচিকর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। রাজনৈতিক সুপারি দিয়ে তো ওনাকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজভবনে জগদীপ ধনকড়ের নিয়োগকেই রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ বলা চলে।” রাজ্যপালকে তাঁর প্রশ্ন, “ওনার তো আচরণ বিজেপি নেতাদের মতই। সরাসরি বিজেপির জনসভা করতে যান না কেন?”
কুণালের আরও বক্তব্য, “রাজ্যপাল ও রাজভবনের একটা সাংবিধানিক সম্মান বা গুরুত্ব আছে। ওঁর কিছু অপছন্দ হলে আইনত ব্যবস্থা নেবেন। রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় সরকার সবই তো ওনাদের। তার বদলে উনি লোক হাসিয়ে বেড়াচ্ছেন।” রাজ্যপালকে কটাক্ষ, “রাজ্যপাল পদের জন্য খারাপ শব্দ ব্যবহার করতে পারছি না। আটকে যাচ্ছে। উনি সেই সৌজন্যতাকে আমাদের দুর্বলতা ভাবছেন।”