কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দুই জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইঙ্গিতবাহী ভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেছেন, “দরকার হলে আরও একজনকে পাঠাতে পারি।” নির্বাচনের সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবে কমিশন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে সুনীল অরোরা। রাজ্যে বিগত কয়েকটি নির্বাচন এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ৮ দফায় এই নির্বাচন সংগঠিত করবে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশন বলেছেন, ২০১৬ সালে ৬ দফা নির্বাচন হয়েছিল। ষষ্ঠ দফাকে ‘এ’ এবং ‘বি’ – এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৭টি দফায় নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৮৮ ব্যাচের আই এ এস অফিসার অজয় নায়েক’কে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিশেষ অবসার্ভার বা পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকবেন। দুই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হলেন – ১৯৭৭ ব্যাচের আই পি এস অফিসার মৃনাল কান্তি দাস এবং ১৯৮৮ ব্যাচের আই পি এস বিবেক দুবে। বিবেক দুবে ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে পুলিশ বিশেষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। ত্রিপুরার একই দায়িত্বে ছিলেন মৃনাল কান্তি দাস।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ৮টি দফা নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখোপাত্ররা সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তামিলনাড়ু, আসামে একটি দফা। এখানে ৮ দফা কেন। অন্যদিকে বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করেছে। যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২২.৭৬ শতাংশ বেশি। এই ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে কোনও কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তা যে ধর্মীয় মেরুকরণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিধানসভায় বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামদলগুলি ফলাফল বিচার করতে হয় তবে দেখা যাবে বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসনে জিতেছিল। লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার কথা। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভার নিরিখে বিচার করলে বোঝা যায় তৃণমূল অন্তত ৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।