কলকাতা: অবশেষে মিলল সুখবর৷ বেঙ্গল কেমিক্যালসকে দু’ধরণের হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তৈরি জন্য ছাড়পত্র দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ৷ হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ২০০ ও হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ৪০০ এই ধরণের ওষুধ তৈরির জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ তবে সমস্যা বেঁধেছে কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে৷ কাঁচামাল চেয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছে বেঙ্গল কেমিক্যালস৷ কাঁচামাল পেলেই আগামী সপ্তাহ থেকে ৩ কোটি ওধুষ তৈরি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নিয়েছে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যালস৷
করোনা মোকাবিলায় হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিল বেঙ্গল কেমিক্যালস৷ ওষুধ তৈরি করার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়৷ সেই আবেদনে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ৷ আবেদন জমা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার৷
তবে ওষুধ তৈরি ছাড়পত্র মিললেও প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁচামাল৷ হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ওধুষ তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন, এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেই কাঁচামাল মজুদ নেই বেঙ্গল কেমিক্যালসের হাতে৷ কাঁচামালের যেহেতু অভাব রয়েছে, ফলে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না বেঙ্গল কেমিক্যালস৷ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে আবেদন করেছে বেঙ্গল মিকেলস কর্তৃপক্ষ৷ মিনিস্ট্রি অফ ছেমিক্যালস কাছে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে৷
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে উৎপাদন শুরু করতে গেলে অবিলম্বে কাঁচামাল প্রয়োজন৷ প্রাথমিকভাবে তিন কোটি ট্যাবলেট তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বেঙ্গল কেমিক্যালসের৷ কাঁচামাল সরবরাহ করার বিষয়ে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও একই মর্মে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে৷
বিংশ শতকের গোড়ার দিকে স্বদেশি আন্দোলনের সময় দেশীয় শিল্পের উন্নতিসাধনেই প্রফুল্লচন্দ্র রায় গড়েছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালস। বর্তমানে যার নাম বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ১২০ বছরের এই সংস্থাটি মাঝে বেসরকারিকরণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। যদিও তা আটকাতে সিটু-সহ অন্যান্য সংগঠনগুলি এগিয়ে এসেছিল। সূত্রে প্রকাশ, হাইকোর্টে মামলাও করেছিল বামরা। সেই বেঙ্গল কেমিক্যালস এখন আলোচনার শীর্ষে। করোনার এই ভয়াবহ সময়ে গোটা দেশ তথা বিশ্বের কাছে ভরসার নাম ১৯০১ সালে তৈরি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যালসের নাম।