কলকাতা: ২১-এর ভোটকে কেন্দ্র করে ক্রমেই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ৷ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি বৈষ্ণব তোষণের কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ রাজবংশী, আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পাশাপাশি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- বাংলায় শিল্পী-কৃষকেরা বঞ্চিত, ৭০ বছরের শিল্পীদের পেনশনের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র: কৈলাস
মঙ্গলবার হুগলির বলাগড়ে জনসভা করেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ ওই সভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে না৷ ওই বছর নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি গ্রামের মানুষ৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরেই হবে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন৷ সুর চড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এই বছর নির্বাচন পরিচালনা করবেন দিল্লির দাদা, দিদি নয়৷ পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে না ২০২১-এ৷ পুলিশের জন্য আমরা নো-এন্ট্রি জোন করে দেব৷ দায়িত্ব সামলাবে দিল্লি পুলিশ৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, ‘‘চাবি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান দিদিমণি৷ কারখানায় তালা ঝোলানোই তাঁর কাজ৷ উদ্বোধন করা নয়৷ মিল খোলার জন্য তিনি উদগ্রীব৷ কিন্তু শিল্প খোলার কথা তিনি কানেও তোলেন না৷ ডানকুনি থেকে বর্ধমান পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে উর্বর জমি পড়ে রয়েছে৷ কৃষকরা অন্য জায়গায় ফসল কাটছে৷ তিনি সিঙ্গুরের জমিতে শিল্প করতে দেননি৷ কিন্তু টাটারা এখান থেকে গুজরাতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমি পেয়ে যান৷ চাকরি পান স্থানীয় যুবকরা৷’’
আরও পড়ুন- গোষ্ঠীকোন্দলের জের! তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, চাঞ্চল্য এলাকায়
এদিকে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের জন্যই বাজারে আলু-পেঁয়াজের দাম আকাশ চড়া৷ বাজার দরের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই কেন্দ্রের৷ এর বিরুদ্ধে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে মধ্যস্থতাকারীরা ঢুকে পড়েছেন৷ কৃষকরা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷ যাঁরা ৫ টাকার জন্য এক কেজি আলু বিক্রি করেন, সেই আলুই বাজারে এখন ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷ রাজ্যের কৃষকরা ২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বেচছে৷ অন্যদিকে বাজারে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে৷ বাকি টাকাটা যাচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীদের পকেটে৷’’ এই ইস্যুতে বিজেপি বাংলা যুব মোর্চা সপ্তাহব্যাপী অভিযানে নামবে বলেও জানান দিলীপ ঘোষ৷ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁদের ‘আর নয় অন্যায়’ অভিযান৷