ছিল বিচারপতি নিয়ে বিতর্ক, এজলাস বদল নন্দীগ্রাম মামলার

ছিল বিচারপতি নিয়ে বিতর্ক, এজলাস বদল নন্দীগ্রাম মামলার

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই পরাজয় নিয়ে বিতর্ক এখনো বহাল এবং সেই প্রেক্ষিতেই সেই হারকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই মামলার বিচারপতি যিনি ছিলেন সেই কৌশিক চন্দকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিচারপতি বলে অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে এই মামলা থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়। অবশেষে এই মামলার এজলাস বদল হল। বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে গেল নন্দীগ্রাম মামলা।

বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে তিনি মামলা ছেড়ে দেন। কিন্তু মামলা ছেড়ে দেওয়ার আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মূল দাবী ছিল যে নন্দীগ্রাম বাংলার বিচারপতি সক্রিয় বিজেপি সমর্থক ছিলেন এবং একাধিক জায়গায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে। সেই আপত্তির কারণেই মামলা সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় তৃণমূল। অবশেষে এই মামলার এজলাস বদল হয়ে এখন বিচারপতির শম্পা সরকারের এজলাসে গেল। কৌশিক চন্দ মামলা ছেড়ে দেওয়ার পর সেই মামলার ফাইল যায় প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনি তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে এখন শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলা পাঠিয়ে দিলেন। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরও পড়ুন- মোদীর মন্ত্রিসভায় ৭০ জনই কোটিপতি, ফৌজদারি মামলা রয়েছে ৩৩ জনের মাথায়

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি পোস্ট করেছিল। যার প্রেক্ষিতে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জরিমানা করা হয়েছিল। বিচারপতির বক্তব্য ছিল, তিনি সর্বদা নিরপেক্ষ থাকেন কিন্তু পেশার তাগিদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তা বলে এইভাবে কাউকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। সেই কারণেই এই জরিমানা। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যে ইলেকশন পিটিশন করা হয়েছিল তিনি তা শুনবেন না৷ মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের যে আবেদন করেছিলেন, তাতে সাড়া দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ কৌশিক দন্দ জানান, অন্যান্য কারণ বশত এই মামলা থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *