কলকাতা: রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করছে। দিনপ্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বাড়তে থাকায় একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক অন্য দিকে ক্রমশ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় বেহাল অবস্থা হচ্ছে বেলেঘাটা আইডির। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের অভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখেছে এই ব্যাপারে।
জানা গিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং তিনজন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই তিন জন চিকিৎসক কাজে যোগ দেননি বলে খবর। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনভাবেই আনা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সদের অভাব স্বাভাবিকভাবে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বেলেঘাটা আইডির অধ্যক্ষা। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫,৮৯২ জন, আর আজ তা বেড়ে হল ৬,৭৬৯ জন! কার্যত পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সুনামি হচ্ছে তা বলায় বাহুল্য। পরিস্থিতি আরও করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যের নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৭৬৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
অন্যদিকে, নজিরবিহীন ভাবে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে হতে চলেছে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র৷ ২৭ এপ্রিল স্টোরের দখল নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তিন দিন সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে প্রবেশের উপর থাকবে নিষেধাজ্ঞা৷ বাগবাজারের এই সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকেই গোটা রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন করা হয়৷ এবার এই মেডিক্যাল স্টোরেই হবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র৷ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আজ এই সংক্রান্ত চিঠি এসে পৌঁছেছে বাগবাজারে৷ ২৭ তারিখ থেকে তিনদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনেই থাকবে মেডিক্যাল স্টোর৷ এখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হবে৷ উপস্থিত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ যার জেরে গোটা ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়া কার্যত বানচাল হতে চলেছে৷