কলকাতা: ‘একাকিত্ব ঘোচাতে বন্ধুত্ব করুন’—এমন গুচ্ছ গুচ্ছ এসএমএস প্রায়শই আসে মোবাইলে। সেইসব এসএমএসের জবাব দিয়ে অনেক নিঃসঙ্গ ও কৌতূহলী মানুষ ফাঁদে পড়ছেন। উত্তর দিলেই উল্টোদিক থেকে আসে ‘বন্ধুত্ব’ গড়ার টোপ। ধাপে ধাপে তা ‘সম্পর্ক’ পর্যন্ত গড়ায়। এই বন্ধুত্ব আর সম্পর্কের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে প্রতারণার জাল। খোয়া যাচ্ছে টাকা। পরে তাঁরা অনেকেই পুলিসের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে জেনেছে, এর পিছনে রয়েছে বড়সড় চক্র। সেখানে বেশ কিছু যুবক-যুবতী কাজ করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় বসে মোবাইল থেকেই এই চক্র চালাচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনও জায়গা থেকে অপারেশন না হওয়ায় পুলিসের পক্ষেও দুষ্কৃতীদের ধরতে সমস্যা হচ্ছে। তারা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এই প্রতারণার ব্যবসা চালাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে নেপাল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র ও বেশ কিছু গেজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নেপাল মণ্ডলের এক আত্মীয় এই ঘটনায় জড়িত। তাকেও পুলিস খুঁজছে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মালদহের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি মাঝেমধ্যে সল্টলেকেও থাকেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি বাল্ক এসএমএসের জবাব দেওয়ার পর তাঁকে একাধিকবার ফোনও করা হয়। ফাঁদে পড়ে রফিকুল ইসলাম এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খুইয়েছেন। পুলিস সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে।