স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির তাণ্ডবে শয্যাশায়ী ‘ঘরজামাই’

রায়গঞ্জ: স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হলেন এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে এবিষয়ে ইটাহার থানায় সালিশি সভা হওয়ার পর থানা ক্যাম্পাস থেকে বেরোনোর সময়ও ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করলেন স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তির নাম উৎপল সরকার (৩০)। বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বল বাবু। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে,

স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির তাণ্ডবে শয্যাশায়ী ‘ঘরজামাই’

রায়গঞ্জ: স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হলেন এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে এবিষয়ে ইটাহার থানায় সালিশি সভা হওয়ার পর থানা ক্যাম্পাস থেকে বেরোনোর সময়ও ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করলেন স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তির নাম উৎপল সরকার (৩০)। বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বল বাবু। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে, বহরমপুরের সাগরপাড়ার বাসিন্দা বিনা সরকার (হালদার)-এর সঙ্গে ইটাহারের মহানন্দপুরের বাসিন্দা উজ্জ্বল সরকারের বিয়ে হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তারা দিল্লিতেই শ্রমিকের কাজ করতেন। মাস ছয়েক আগে ইটাহারে গ্রামের বাড়িতে এসে ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেন উজ্জ্বলবাবু। কিন্তু দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার দাবি করতে থাকেন বিনাদেবী। কিন্তু, স্বামী দিল্লিতে ফিরতে না চাওয়ায় যাবতীয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ওই দম্পতির দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এদিন ছিল ইটাহার থানায় এবিষয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়। সভা শেষ হওয়ার পর থানা ক্যাম্পাসের মধ্যেই উজ্জ্বল সরকারকে বেধড়ক মারধর করে তার স্ত্রী সহ পরিজনেরা। এর পরই অভিযুক্ত বিনা সরকার, মহাদেব হালদার, হালামি হালদার, সরস্বতী হালদার, অমর হালদারকে আটক করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − nine =