কলকাতা: বেসরকারি স্কুলের আয়ব্যয়ের হিসাব কোনওভাবেই দেখা যাবে না। এই মর্মে জানিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলির আয়ব্যয় সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে ফেরায় শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের তৈরি দুই সদস্যের কমিটির ওপরও স্থগিতাদেশ জারি হয়। এবার বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে বলল হাইকোর্ট।
বলা হল নিজেরাই কমিটি গড়ে সিদ্ধান্ত নিক স্কুলগুলি। মামলা জারি হওয়া ১৪৫টি স্কুলের প্রতি স্কুল একে অন্যের থেকে ভিন্নভিন্ন কাঠামোর। পড়ুয়াদের পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও এক নয়। ফলে সবার জন্য একই নির্দেশ জারি হলে তা ঠিক হবে না বলেই মনে করে হাইকোর্ট। তাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছাড়াও তিনজন শিক্ষক ও তিনজন অভিভাবক নিয়ে কমিটি গড়বে প্রতিটি স্কুল। এই কমিটিই স্কুলের বেতনে ছাড় সংক্রান্ত বিষয়টি ঠিক করবে।
নির্দেশ মামলায় যুক্ত হওয়া গার্জিয়ান ফোরাম থেকেই কমিটির অভিভাবক সদস্য নিতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিটি স্কুলের প্রতিনিধি কমিটি থেকেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট। এদিকে দুই সদস্যের কমিটির কাছে স্কুলগুলির পাঠানো রিপোর্টে কমিটি সন্তুষ্ট নয়। কমিটির দাবি বহুক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হয়নি।
আদালতের ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে যান্ত্রিকভাবে নির্দেশ পালন করা হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি-বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের গঠন করা দুই সদস্যের কমিটি ও তার কার্যকলাপের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়েছিল, বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যায়ের হিসাব খতিয়ে দেখবে না সুপ্রিম কোর্ট।
তবে নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাতে পারেন মামলাকারী স্কুলগুলো। হাইকোর্ট ফের শুনানিতে জানায় মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকরী হবে না কমিটি। বেসরকারি স্কুলগুলিতে টিউশন ফি ছাড়াও অন্য বিভিন্ন খাতে যে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়, এই মহামারীর সময় সেই বাড়তি টাকা নেওয়া বন্ধ হোক।
কিছুদিন আগে এমনই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার অভিভাবক। মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যায় কয়েকটি স্কুল।