মালদহ: ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়৷ ব্লক অফিসের মধ্যেই ‘মিনি চিড়িয়াখানা তৈরি করে খাতায় কলমে সেটা করে দেখিয়েছেন স্থানী বাসিন্দা এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা৷ নজিরবিহীন এই ঘটনার সাক্ষী হতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে অফিসে৷
তিল তিল করে ১৮ বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় আস্ত একটা চিড়িয়াখানায় গড়ে উঠেছে ব্লক অফিসের ফাঁকা জায়গায়৷ তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জঙ্গল এবং জলাশয়৷ সেখানে দিনভর খেলাধুলো করছে ২৫টি হরিণ৷ আপনি চাইলে এখানে হরিণকে এক্কেবারে কাছ থেকে, এমনকি স্পর্শ করেও দেখতে পারেন৷ শুধু হরিণ নয়, জঙ্গলে দেখা মিলবে খরগোশ এবং অসংখ্য কালো মুরগির৷
বিডিও বিজয় গিরি জানান, ‘‘অনেকেই জঙ্গল ঘুরে দেখতে আসেন৷ হরিণকে দেখেন৷ ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়ছে৷ তাই আগামীদিনে জলাশয়টি সংস্কার করে সেখানে বোটিং চালু করার ভাবনা পয়েছে৷ এছাড়াও পর্যটকরা যাতে রাত্রিবাস করতে পারেন, তার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে৷’’
নাহ্, এই ফরেস্ট তৈরি করতে সরকারের একটি পয়সাও খরচ করা হয়নি বলেই দাবি বিডিও সাহেবের৷ তিনি বলেন, হরিণকে দেখভালের জন্য স্থানীয় কিছু মানুষকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ তাঁদের মাসিক বেতনও দেওয়া হয়৷ তাই এই মিনি ফরেস্টে ঢুকতে হলে টিকিট কেটে ঢুকতে হয়৷ আমরা সেই টাকা থেকেই কর্মীদের বেতন দিই এবং আনুষঙ্গিক খর চালায়৷ জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে এই ব্লক অফিসে বিডিও ছিলেন অশোক কুমার মোদক৷ তার হাত ধরেই ব্লক অফিসের ফাঁকা এলাকায় গড়ে ওঠে পার্ক৷ সেসময় বিডিও-র উদ্যোগে এলাকায় আনা হয়েছিল ৬টি হরিণ৷ বংশ বিস্তার করে এখন তারই সংখ্যা পঁচিশ! তাদের দেখভালের জন্য রয়েছেন স্থানীয় বারদুয়ারী গ্রামেরই তিনজন বাসিন্দা৷ স্বভাবতই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই মৃগাক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে মানুষের আগ্রহ৷ বাড়ছে ভিড়ও৷