ফের চমক! পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরা

ফের চমক! পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরা

কলকাতা:  কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় তিনি ছিলেন নিশ্চিত ভাবেই বড় চমক৷ কলকাতা পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী করা হয় তাঁকে৷ তৃণমূলের হয়ে প্রথমবার লড়াইয়ে নেমেই তিনি জয়ী৷ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রার্থী আর কেউ নন বাম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুর্তমন্ত্রীর কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী৷ 

আরও পড়ুন- রেকর্ড ভোটে জয়ী বাম প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান

কট্টর বামপন্থী নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বন্ধুরা গোস্বামীকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও উৎসাহের খামতি ছিল না৷ এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন তিনি৷ বেলা একটু বাড়তেই এল প্রত্যাশিত জয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে বামেদের প্রার্থী ছিলেন দিপালি গোস্বামী৷ পেশায় অধ্যাপিকা বসুন্ধরা অজন্তা বিশ্বাসের হয়ে তৃণমূলের মুখপত্রেও কলম ধরেছিলেন৷ এর পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে৷ 

অন্যদিকে, বামপন্থী নেতার মেয়ে হয়ে তৃণমূলের মুখপত্রে কমল ধরা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল বাম নেতৃত্ব৷ আর বাম জমানার মন্ত্রী তথা কট্টর বামপন্থী ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়েকে তৃণমূল প্রার্থী করে সবাইকে চমকে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুরসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঠিক করার সময় ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য উঠে আসে বসুন্ধরার নাম৷ এদিন ৫ হাজার ৮৮৭ ভোটে জয়ী হলেন তিনি৷ ভোটের আগে খোদ তৃণমূল নেত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল বসুন্ধরার প্রশংসা৷ বলেছিলেন, চাকরি ছেড়ে মানুষের সেবা করতে এগিয়ে এসেছেন বসুন্ধরা৷ ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,  “নতুনদের মধ্যে বসুন্ধরা আছে। ক্ষিতিদার মেয়ে। চেনেন সবাই।’’  এমনকী বসুন্ধরাকে মাস্ক খুলে সকলকে নিজের মুখ দেখাতেও বলেছিলেন তিনি৷ 

ক্ষিতি গোস্বামীর মৃত্যুর পর রাজনীতির কারবারিরা বুঝেছিলেন, তৃণমূলের অনেক কাছে চলে এসেছেন ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে৷ বসুন্ধরা তৃণমূলের মুখপত্রে লিখেছিলেন, ‘এটা বাস্তব যে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে কোনও লেখা হলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে অজন্তা উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *