কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে অনেকেই কিনে ফেলেছে মোবাইল বা ট্যাব। সরকারি টাকায় মোবাইল কিনলে স্কুলে জমা দিতে হবে জিএসটি বিল। আর এই নিয়মেরও ফাঁক খুঁজতে গিয়ে বিপাকে বারাসতের এক মোবাইল দোকান।
উত্তর কলকাতার বারাসত এলাকার একটি মোবাইল দোকান দাবি করেছে, ট্যাব না কিনলেও স্বল্প খরচে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে জিএসটি বিল। ওই দোকানের তরফে এরকমই প্রস্তাবমূলক ম্যাসেজে পাঠানো হয়েছে কালিকৃষ্ণ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রীদের মোবাইলে। আর এই ম্যাসেজ দেখেই কালিকৃষ্ণ গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই দোকানের বিরুদ্ধে।
কালিকৃষ্ণ গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত এই ব্যাপারে জানিয়েছেন, ‘‘ট্যাব না কিনলেও জিএসটি বিল মিলবে বলে জানিয়ে ছাত্রীদের কাছে এসএমএস করা হয়েছে রায় মোবাইল নামে একটি দোকান থেকে। সেই এসএমএস কয়েকজন শিক্ষিকার কাছেও পৌঁছেছে। এমনকী মেয়েদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোন করেও এই বিলের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে৷” এই অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে মৌসুমী সেনগুপ্ত ওই নির্দিষ্ট মোবাইল দোকানের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর কারণে রাজ্যের স্কুলগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ। আর এমতাবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের পড়াশুনার কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পড়াশুনার সুবিধার্থে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুসারে রাজ্যের ৯.৫ লক্ষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ট্যাব কেনার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তার মাঝেই এমন এল দুর্নীতির অভিযোগ।