কলকাতা: ফের মৃত্যু শহরে৷ বাঁশদ্রোণীতে উঠতি মডেল পূজা সরকারের রহস্য মৃত্যু৷ তাঁর মৃত্যুর নেপথ্য কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন পূজা।
আরও পড়ুন- ধনকড়ের ইস্তফা, পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পূজার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে একটি হোটেল থেকে নৈশভোজ সেরে ফ্ল্যাটে ফিরেছিলেন তিনি। ঘরে বসেই ফোনে করেন প্রেমিককে৷ কথা বলতে বলতে আচমকাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ এরপরই নাকি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এই পরিস্থিতিতে খানিক ভয় পেয়েই ফ্ল্যাট মালিককে ফোন করেন পূজার ফ্ল্যাটমেটরা। ফ্ল্যাট মালিকই পুলিশে খবর দেন৷ এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ঘর ভেঙে উদ্ধার করা হয় পূজার ঝুলন্ত দেহ৷
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে হামেশাই ঝামেলা হত পূজার। ফ্ল্যাটে বছর ১৯-এর পূজার সঙ্গে আরও এক তরুণী থাকতেন৷ তিনিই এ কথা জানান৷ সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে থাকতেন দুই তরুণ। সাধারণত পূজা অনেক দেরি করে বাড়ি ফিরতেন৷ গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের ছাত্রী পূজা ছিলেন উঠতি মডেল৷ বাড়ির মালিকের দাবি, পূজা এক তরুণের সঙ্গে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, ফ্ল্যাটে মোট চারজন থাকতেন। গোটা বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>