কলকাতা: নিম্ন আদালতের নির্দেশের পরেও ছাড়া পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশি নাগরিক। কারণ, কেন্দ্রের অনুমোদন আসেনি। সময় দেওয়ার পরেও কেন্দ্র ছিল নিরুত্তর। পরবর্তী ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিক লাভলী আখতারকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল লাভলী আখতার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। ভারতে আসার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও তিনি ভারতে বসবাস করতে থাকেন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার পুলিশ তাকে অবৈধভাবে থাকার জন্য সরূপনগর থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তার করে তাকে বসিরহাট পুলিশি আদালতে তোলা হয়। তাকে রাখা হয় সংশোধনাগারে। আদালতের নির্দেশ ৬৬ দিনের জেল হয় লাভলীর। সংশোধনাগারে থাকে লাভলী। চলতি বছরের ১১ জুন বসিরহাটের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলীকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ভারত সরকারের অনুমোদন না আসায় লাভলীকে বর্তমানে জেলে থাকতে হয়।
আরও পড়ুন- টিকা নিয়ে বৈষম্য করছে কেন্দ্র, সীমান্তবর্তী বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক, দাবি মমতার
লাভলীর আইনজীবী সৌমজিৎ দাস ও সৌম্য নাগ আদালতে বলেন, নিম্ন আদালত ইতিমধ্যে তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সে ৬৬ দিন জেলও খেটেছে। কিন্তু তাকে এখনো ছাড়া হচ্ছে না। এইভাবে বহু বাংলাদেশীকে মেয়াদ উত্তীর্ণের পর আটকে রাখা হয়েছে কোথাও কোথাও তারা শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লাভলী যাতে নিজের দেশ বাংলাদেশ ফিরতে পারেন তাঁরা সহযোগিতা করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্য তাদের ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বাড়ি ফিরছেন ওই বাংলাদেশী মহিলা। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রের উদাসীনতা দেখে বিস্মিত’।