“নতুন বাংলাদেশ” এর হাল বেহাল (Bangladesh Economic Crisis)
কলকাতা: ভারতের গিফ্টে বড়লোক হাসিনা, বাংলাদেশের রিয়্যাকশন সাঙ্ঘাতিক! চরম অনটন নিজেদের, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর পথ কী আদৌ খুঁজছেন ইউনুস? দেখুন কেমন “নতুন বাংলাদেশ” এর হাল বেহাল!
মজার বিষয় হল, মহম্মদ ইউনুসের অম্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে সবে মাস দুই হয়েছে। আর এরমধ্যেই অলরেডি বহু মানুষ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বলছেন, হাসিনাকে হটিয়ে লাভটা কী হল? মুদ্রাস্ফীতির জেরে পাকিস্তানে এক বেলা খাবারের খরচ ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। আর বাংলাদেশের মানুষ বলছে, হাসিনার সময় দিনে পাঁচশো টাকা রোজগার করে দিব্যি ছিলাম। এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। সাংবাদিক, ইউটিউবারদের একাংশ বলছেন, দু-মাসেও দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেনি ইউনুস প্রশাসন। তার সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
পারছে না সরকার (Economic Downturn and Its Consequences)
মাত্রা ছাড়া দামের পিছনে সরকারের বিদেশি মুদ্রার টানাটানিও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ডলারের তীব্র টানাটানি চলছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে ডলার সংকটের মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপিতে রপ্তানি-আমদানি শুরু হয়েছিল। ইউনুস সরকার এসে আমেরিকার চাপে ফের ডলারে বাণিজ্য শুরু করেছে। এখন ডলারের সংকটে জেরবার বাংলাদেশ সরকার। ফলে বাজার শূন্য অবস্থাতেও বহু নিত্য পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারছে না সরকার।
অথচ, এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর জন্য কোনো উদ্যোগ বা ইনিশিয়েটিভ কিন্তু নেয়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি নিয়ে পাকাপোক্ত কোনো পলিশি নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু যথেষ্ট উদাসীন। কিন্তু, এখনো হাসিনা বিরোধী, আওয়ামী লীগ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে বা মন্তব্য করতে পিছপা হচ্ছে না ইউনুস সরকার।
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব.. (Travel Documents)
হাসিনাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ ইস্যু করেছে ভারত। দিল্লি থেকে অন্যান্য দেশে ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, “সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ভারত সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে। এটা যেকোনও দেশ যেকোনও ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর উপায় নেই। ফলে এখন ভারত থেকে বিশ্বের যেকোনও দেশে ভিসা নিয়ে তিনি যেতে পারবেন। তবে কোনও মামলায় যদি শেখ হাসিনাকে আদালত হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সেক্ষেত্রে কী তাহলে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েন এর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে? না, তেমন কোনো ইঙ্গিত অবশ্য মেলেনি। বরং তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ছিল, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। আমাদের মধ্যে যে সুসম্পর্ক আছে, সেটা বজায় থাকবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি উভয় দেশের জন্যই দরকার। ভারতের যেমন আমাদের দরকার, তেমনি আমাদেরও তাদের দরকার।”
এসব দেখে শুনে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, নিজেদের অভাব অনটন বুঝেই হয় তো এই কঠিন সময় ভারতের প্রতি অন্যায় বিরোধিতা করা থেকে সম্ভবত দূরে থাকতে চাইছে বাংলাদেশ।
কিভাবে সারভাইভ করবে বাংলাদেশ? (Humanitarian Crisis and Social Impact)
এটা তো ফ্যাক্ট পুজোয় ভারতকে ইলিশ দেবে না বলেও শেষে পিছু হটেছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বলা হয়েছিল, দেশের মানুষকে সস্তায় ইলিশ খাওয়াতেই ভারতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই বাংলাদেশে এখন বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি। কিন্তু কেনার লোক নেই। অবস্থা এমন যে এই প্রথম সে দেশে গোটা ইলিশের পরিবর্তে পিস করে বিক্রি শুরু করেছেন দোকানিরা। তাতে একশো গ্রাম ওজনের এক টুকরো ইলিশের দাম পড়ছে দুশো টাকা। অর্থাৎ দু হাজার টাকা কেজি। গোটা ইলিশ ১৬০০ টাকা কেজি।
শুধু কি ইলিশ, বাংলাদেশের বাজারে রবিবার থেকে পেঁপের দাম একশো টাকা ছুঁয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবত পেঁপে বাদে সব সবজির দাম একশো টাকার বেশি। দিন পনেরো হল কাঁচা লঙ্কা চারশো থেকে সাড়ে চারশো টাকা কেজি। সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে ডিমের দাম। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সারভাইভ করবে বাংলাদেশ? পাকিস্তানের চেয়েও শোচনীয় অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে না তো দেশটা?
আরও পড়ুন..
World – Bangladesh Economic Crisis : Bangladesh faces severe economic, political, and humanitarian crises. Explore the causes, impacts, and potential solutions to Bangladesh’s ongoing crisis, affecting millions.