কলকাতা: ফেসবুকে লাইভ করে আত্মঘাতী হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুরের মহদীপুর গ্রামে। মৃত প্রাথমিক শিক্ষকের নাম শুভাশিস মার্ডী। সফরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি। চিঙ্গিশপুরের চকআন্ধারু গ্রামের বাসিন্দা শুভাশিস। তবে বহুদিন ধরেই ওই এলাকারই মহদীপুর গ্রামে নিজের শ্বশুর বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেই ঘরের জানলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। আশ্চর্যজনকভাবে ঘটনাটি ঘটানোর আগে থেকেই ফেসবুকে পুরো বিষয়টি লাইভও করেন। শুভাশিসের স্ত্রীও পড়াশোনা করেন। গতরাতে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন পাশের ঘরে পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলেন স্ত্রী।
ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার প্রস্তুতি দেখামাত্রই বন্ধুরা তাঁর মোবাইল নম্বরে ফোন করেন বহুবার। তবে কারও ফোন ধরেননি তিনি। মাঝরাতে বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। তাই তাঁদের আফসোস কোনোভাবেই বাঁচানো গেলনা শুভাশিসকে। পাশাপাশি ঘটনায় রীতিমতো হতবাক তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীরা। কারণ তাঁদেরই একজনের কথায় খুব ভালো ছেলে ছিলেন শুভাসিশ। তাই এভাবে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে তাঁদের অনুমান লকডাউন চলাকালীন কোনো কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই প্রাথমিক শিক্ষক। তিনি আরও উল্লেখ করেন লকডাউনে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবনতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে।
শুভাশিসের এক আত্মীয় জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও শশুর মশাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পারিবারিক কোনো বিবাদও ছিলনা তাই তাঁর মতে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। শুক্রবার সকালে শুভাসিসের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।