নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: স্থায়ী শিক্ষকরা যেমন জরুরি কলেজে তেমনই অস্থায়ী কর্মীরাও৷ কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সেদিকে নজরই দিচ্ছেন না৷ অস্থায়ী কর্মী নয়, তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ গেস্ট লেকচারাররা। শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকমই বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সরকারি স্বীকৃতিসহ ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের সুনিশ্চয়তা এবং অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবিতে অনশনে বসলেন কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীরা।
বালুরঘাট কলেজ গেটের সামনে মঞ্চ বেঁধে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেন তারা। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তারা নিজেদের দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও শিক্ষামন্ত্রী কাজের কাজ কিছুই করেননি। তারা জানান বিধানসভাতেও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কথা হয়, তাঁর পরামর্শ মেনে কাজ করেও তাদের লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ। তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে নামমাত্র বেতনে তারা কলেজের যাবতীয় কাজ করে দিচ্ছেন, তবুও তারা বঞ্চিত।
বালুরঘাট কলেজের অস্থায়ী কর্মীদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির রাজ্য সভাপতি মেহবুব ইলাহি আলি৷ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীকরণের দাবি জানানো হলেও সরকার অস্থায়ী কর্মীদের জন্য কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায়, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে অস্থায়ী কর্মীদের অনশন শুরু হয়েছে।
মেহবুব বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের এই দাবি নিয়ে সারা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় এই দাবিতে সরব হয়েছেন তারা। পূর্ব বর্ধমানে ইতিমধ্যেই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও মালদাসহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও চলছে কর্মসূচি। তিনি বলেন, অস্থায়ী কর্মীরা কলেজগুলির শিক্ষক ও স্থায়ী কর্মীদের মতই প্রয়োজনীয়। ফলে তাদের কথাও রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত।
শনিবার থেকে বালুরঘাট কলেজের গেটের সামনে অনশন শুরু করেন অস্থায়ী কর্মীরা। তিনি আরো জানান, সরকার তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের অনশন চলবে। রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা হবে বলেও এদিন মেহবুব জানান৷