bakibur
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাকিবুর রহমান সুদ এবং সিকিউরিটি ছাড়াই ৯ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যাকে! শনিবার রেশন মামলায় ধৃত বাকিবুরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বাকিবুরকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের সঙ্গে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যে কতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল তা নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল ইডি। উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি মামলায় রাইস মিল মালিক বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন তিনি বাকিবুরকে চেনেন না। সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,”কে বাকিবুর? ওই নামে কাউকে চিনি না।” অথচ বাকিবুরকে গ্রেফতারের পর তাঁকে টানা জেরা করে সেই সূত্রে গত ২৬ অক্টোবর বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। শনিবার আদালতে ইডি দাবি করেছে বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় শুধু একে অপরকে চিনতেন তাই নয়, তাঁদের মধ্যে অসম্ভব ঘনিষ্ঠতা ছিল। আদালতে ইডির দাবি, সুদ এবং কোনও রকম সিকিউরিটি ছাড়াই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে এবং স্ত্রীকে বাকিবুর রহমান ৯ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন। এই সম্পর্কিত নথিও আদালতে পেশ করা হয়েছে ইডির তরফে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত বাকিবুর ও তাঁর আত্মীয়দের নামে একশো কোটির কাছাকাছি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে রাজ্য, দেশ বা বিদেশ মিলিয়ে বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটি টাকারও বেশি।
এদিন আদালতে ইডির তরফে বলা হয়, অসম্ভব ঘনিষ্ঠতা না থাকলে কেউ কাউকে সুদ এবং সিকিউরিটি ছাড়াই কীভাবে ৯ কোটি টাকা ধার দিতে পারেন? এ বিষয়টি সবিস্তারে জানতে বাকিবুরকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে রেশনের চালের টাকা নিয়ে রীতিমতো নয়ছয় করেছেন বাকিবুর। রেশনের চাল, আটা বেশি দামে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘনিষ্ঠদের কৃষক চিহ্নিত করে তাঁদের দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে সেখানে ধানের সহায়ক মূল্যের টাকা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা এরকম বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন। তাই তদন্তকারীরা নিশ্চিত বাকিবুরকে জেরা করে এই মামলায় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।