কলকাতা: এতদিন শুধু ছিল অপেক্ষা। আজ সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুজনে একসঙ্গে যেমন রোড শো করলেন, অন্যদিকে একাধিক বিষয়ে পরপর আক্রমন করলেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অবশেষে বিজেপির মিছিল এবং জনসভায় দেখা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বৈশাখী, অন্য হাতে গেরুয়া স্লোগান দিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করার বার্তা দেন।
এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি ভাবতেন লোকে যা বলে তা ভুল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সত্যিই মায়া এবং মমতা রয়েছে। তিনি যে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে স্নেহ করতেন, সেটা কখনোই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু বৈশাখীর কথায়, বেশিদিন যায়নি, তার পরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শোভনের জীবনে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৈশাখের কথায়, জনতার জন্য সেটার কারণ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু আসল কারণ ‘অন্য কোন বন্দোপাধ্যায়’! তার চলার পথ মসৃণ করার জন্য স্বপ্নের বলি দেওয়ার দরকার ছিল বলে কটাক্ষ করেন বৈশাখী। একইসঙ্গে বলেন, কার বাংলো, সোনার বাংলো করার জন্য সোনার বাংলাকে ধ্বংস করার দরকার ছিল। এর পাশাপাশি এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে গেরুয়া শপথ শুনতে পাওয়া যায়। তা হল, “শপথ নিয়েছি সদ্য, ঘরে ঘরে পদ্ম”।
এদিন বিকেলে বহু প্রতীক্ষিত বিজেপির রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে দলবদল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোঝাই যাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানতেন কাদের কাছে কালো টাকা ছিল। তাহলে তিনি কেন ব্যবস্থা নেননি, এই প্রশ্ন তুলেছেন বৈশাখী। তার আরও বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কেন তাদের শাস্তি দেননি, কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি, সেই বিষয় নিয়ে ভাবার দরকার। বৈশাখীর বক্তব্য, তিনি সামান্য এক বিজেপি কর্মীর যিনি শোভন বাবুর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেন।