কলকাতা: দশমীর সন্ধ্যায় সম্পর্কের স্বীকৃতি দিয়ে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ যা নিয়ে শোভন-বৈশাখীকে বিঁধতে ছাড়েননি রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এবার পাল্টা জবাব দিলেন বৈশাখী৷ তিনি বলেন, ‘‘ওঁর বাণী শুনলাম। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই। কারণ, আমার জীবনে ওঁর কোনও অস্তিত্ব নেই।’’
আরও পড়ুন- দেবীকে লন্ঠন জ্বেলে পথ দেখান সংখ্যালঘুরা, মহানন্দার তীরে আজও আটুট সম্প্রীতি
প্রসঙ্গত, শোভন বৈশাখীকে সিঁদুর পরানোর পরেই কটাক্ষ করে রত্না বলেছিলেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইনে একজন স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় কাউকে বিয়ে করা যায় না৷ এর পরেও কেউ যদি অন্য স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে তাহলে সমাজ তাঁকে রক্ষিতা হিসাবেই দেখে, স্ত্রী নয়৷ সিঁদুর পরালেই রক্ষিতা স্ত্রী হয় না৷ শোভনের স্ত্রী আমিই থাকব৷’’ রত্নার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দেন বৈশাখী৷ তিনি বলেন, ‘‘শোভন চাইলে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতেই পারেন। আমি কিছু বলতে চাই না। এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে কেউ কিছু বলতে পারে না৷’’
বৈশাখীর সাফ কথা, ‘‘এটা আমার আর শোভনের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। শোভন আর আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ আমাদের৷ আমাদের এই সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে শোভন সেটাকে স্বীকৃতি দিত না। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা সমাজ ঠিক করবে না। এর আগেও অনেক রাজনীতিকেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তাহলে শোভনের বেলাতেই এত কাদা ছোড়াছুড়ি কেন? মনোজিৎকে যে দিন আমি মন থেকে মুছে ফেলেছিলাম, সে দিনই ওঁর সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। খাতায় কলমে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই।’’
রত্নার ‘রক্ষিতা’ মন্তব্য নিয়েও ঝাঁঝাল জবাব দেন বৈশাখী৷ তিনি বলেন, ‘‘উনি যে বাড়িটাতে রয়েছে, সেটা তো আমি কিনে নিয়েছি। তাহলে রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে রয়েছেন কেন? পুজোর ছুটি মিটলেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঠাব।’’