কলকাতা: চলতি সমাজ ব্যবস্থা বেবি ফুড থেকে হেলথ ড্রিঙ্কস, চকলেট ব্যবহারের চল বাড়ছে৷ মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসাবে বাজারে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বেবি ফুড, মূলত কৌটো ও প্যাকেট জাতীয় খাবারের চল৷ কিন্তু, সুখাদ্য বলে শিশুর মুখে যা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা যে কটতা বিষাক্ত তারই কিছু নমুনা খুঁজে পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের গবেষকরা৷
গণবষায় উঠে এসেছে, বাজার চলতি বেশ কিছু বেবি ফুড থেকে শুরু করে হেলথ ড্রিঙ্কস ও চকোলেট প্রস্তুত করতে যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে রয়েছে বিষ৷ যা শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি থেকে ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছে৷ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো নমুনায় তা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷ খাবার বেশিদিন সংরক্ষণ করতে বিষাক্ত উপাদান মেশানো হচ্ছে বলেও জানতে পেরেছেন গবেষকরা৷ আর তাতেই শিশুর শরীরে ঢুকছে বিষ৷ দেশের ২১টি সংস্থার ২৯ রকমের খাবারের নমুনায় বিষের সন্ধান্ত মিলেছে বলে খবর৷
যাদবপুরের গবেষকদের দাবি, নমুনা খাবারে মারাত্মক পরিমাণে অ্যাফলাটক্সিন ও জীবাণু থেকে উৎপন্ন হওয়া বিষাক্ত উপাদান ডিঅক্সিনিভালেনল রয়েছে৷ যা শরীরে গেলে নানা ক্ষতি করতে পারে৷ এর থেকে কী রক্ষা করা যাবে শিশুদের? যাদবপুরের গবেষকরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যাফলাটক্সিন শরীরে ঢুকলে শিশুর হজমশক্তি কমে যেতে পারে৷ থাকছে ক্যান্সারের আশঙ্কা৷ স্মৃতিশক্তি কমতে পারে৷ ফলে, এগুলি এড়িয়ে মাতৃদুগ্ধের উপরই নির্ভরশীল হতে বলছেন গবেষকরা৷ কারণ, মাতৃদুগ্ধের বিকল্প একমাত্র মাতৃদুগ্ধ৷