‘অজন্তা সার্কাস’ বিজেপি লুপ্ত হয়ে যাবে! মুখ খুললেন বাবুল

‘অজন্তা সার্কাস’ বিজেপি লুপ্ত হয়ে যাবে! মুখ খুললেন বাবুল

cdb124f83721667f02ef8008193d4abb

কলকাতা: বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন প্রায় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারির আজকের সাংবাদিক বৈঠক আরও বড় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে গেরুয়া শিবিরের জন্য। দল হিসেবে তারা আরও অস্বস্তিতে পড়েছে। বাংলায় বিগত কয়েক মাস ধরে এমনিতেই ধরাশায়ী হচ্ছে বিজেপি। তা সে ভোটে হোক কিংবা দলগতভাবে। কারণ লাগাতার ভোটে হেরেছে তারা এবং অনেকেই দল ছেড়েছে। এবার এই পরিস্থিতি নিয়ে নিজের পুরোনো দলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বাবুল সুপ্রিয়। দাবি করলেন, তিনি ৫ মাস আগে যা বলেছিলেন এখন সেটাই কার্যত প্রমাণিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন- বাংলায় দখলদারির রাজনীতি তৃণমূলই এনেছে, বিস্ফোরক দিলীপ

এদিন বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টুইট করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুল সেই টুইটে লেখেন, ”৫ মাস আগে আমি যা বলেছিলাম বঙ্গ বিজেপির সম্পর্কে এখন সাংবাদিক বৈঠকে সেটার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অজন্তা সার্কাসের পূর্ববর্তী ‘রিং মাস্টার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল অপরিপক্ক, অকথ্য, অনভিজ্ঞ জোকারদের উত্থান। এখন দেখতে থাকুন, গণ প্রত্যাখ্যানের পর বিজেপি বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে সময়ের আগেই”। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি বাবুল। তিনি বলেন, ”বঙ্গ বিজেপির যারা অভিজ্ঞ নেতা বা যারা বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চান, হয় তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, আর না হলে বিভিন্ন জেলায় রাজনীতি থেকেই সরে গিয়েছেন। এটাই শেষের শুরু।”

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শো-কজ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বহিষ্কার করা হয়। এই নিয়ে এখন তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই বহু নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। তার ওপর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপির উত্থান দলের একাংশ মানতে পারেনি বলে আক্রমণ করেছেন। জানিয়েছেন, বাংলার বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বঙ্গের নির্বাচনে বিজেপির তরী পার করানোর যে চেষ্টা ছিল তা ঠিক ছিল না বলেই মনে করেছিলেন তিনি। সেই বিষয়টি পাত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেছেন, যে দল বাংলায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট পেত, তারা ৪০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরে তাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি যাদের কাজের জন্য এটা সম্ভব হয়েছিল। এই ইস্যু নিয়েই মুখ খুলে বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন বাবুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *