কলকাতা: বেশ কিছু দিন ধরেই অচেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে৷ মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই বেসুরো ছিলেন বাবুল৷ তাঁর রাজনৈতিক সন্নাস নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়৷ তবে কি এবার রাজনীতি ছাড়ছেন আসানসোলের সাংসদ? জল্পনা বাড়িয়ে ফের ফেসবুর পোস্ট বাবুলের৷
আরও পড়ুন- লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যসচিব
এদিন ফেসবুক পোস্টে বাবুল লেখেন, ‘সমাজসেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও তা করা যায়৷ আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরে….’৷ মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে নাম কাটা যাওয়ার পর জল্পনা বাড়িয়ে ফের ফেসবুক পোস্ট তাঁর৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজনীতিত ছাড়তে চেয়ে বারবার অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার কাছে গিয়েছি৷ আমি ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যে, প্রতিবারই ওঁরা আমাকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন৷’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমি তাঁদের এই ভালোবাসা কোনও দিন ভুলব না৷ তাই আবার তাঁদের কাছে গিয়ে সেই একই কথা বলার ধৃষ্ঠতা আর আমি দেখাতে পারব না৷ ‘আমার আমি’ কী করতে চাই অনেক দিন আগেই তা ঠিক করে নিয়েছি৷ কাজেই আবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে গেলে কোথাও না কোথাও তাঁরা ভাবতেই পারেন যে আমি কোনো ‘পদের’ জন্য ‘দরাদরি’ করছি৷ আর তা যখন একেবারেই সত্য নয়, তখন একেবারেই চাই না যে তাঁদের মনের ঈশান কোণেও সেই ‘সন্দেহের’ উদ্রেক হোক। এক মুহূর্তের জন্য হলেও।’’ সেই সঙ্গে সাংসদ পদ থেকে ইস্তপা দেওয়ার কথাও জানান বাবুল৷
বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের রাজনৈতিক সত্ত্বার চেয়ে গায়ক সত্ত্বাকেই বেশি করে তুলে ধরতে চাইছিলেন বাবুল৷ এদিন রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার সময়েও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গানের আশ্রয় নিয়ে লেখেন ‘এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম…। পোস্টের গোড়াতেও লিখেছেন, চললাম, আলবিদা৷ এই চললাম, আলবিদা শব্দের মধ্যেই তাঁর রাজনীতি থেকে বিদায়ের ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে৷ তবে কি তিনি আর সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না? তার উত্তরও রয়েছে এই পোস্টে৷ দীর্ঘ পোস্টে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘সবার সব কথা শুনলাম- বাবা, (মা) স্ত্রী, কন্যা, দু’একজন প্রিয় বন্ধু-বান্ধব..৷ সবকিছু শিনে বুঝে অনুভব করেই বলি চললাম৷’’ তবে তিনি যে অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন- ‘খুলতে হবে স্কুল’, দাবি উঠতেই মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে কাঠগড়ায় পুলিশ!
সম্প্রতি তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ অনেকেই মনে করছেন মন্ত্রিত্ব হারানোর জেরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই দূরত্ব৷ এ প্রসঙ্গেই এদিন বাবুল লেখেন, ‘বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম। কিছু মন রাখলাম, কিছু ভাঙলাম। কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ, হতাশ করলাম। মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন।’