ভবানীপুরে ভ্যাবাচ্যাকা! মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বাবুল

ভবানীপুরে ভ্যাবাচ্যাকা! মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বাবুল

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ‘ঘর’ ভবানীপুর থেকে লড়বেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকে লড়বেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী না হলেও ভবানীপুরে তাঁর আধিপত্য কতটা সেটার কিঞ্চিৎ আঁচ ইতিমধ্যেই পেয়ে গেলেন টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে প্রচারে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হবে তাঁকে। গাড়ি ঘিরে ধরে চলল স্লোগান।

বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারের জন্য বেরিয়েছিলেন তাঁরা সকলে। রাতে চা খাওয়ার জন্য ভবানীপুর এলাকার এক জনপ্রিয় ধাবায় যান তিনি। সেখানেই হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সদস্যরা তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করে। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাবুলের বক্তব্য, আগে থেকে কোনরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি সেখানে তবুও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা সেখানে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে গুন্ডামি আর গন্ডগোল পাকানোই তাদের কাজ। এই ঘটনার ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে পোস্ট করেন টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী। গোটা ঘটনায় তিনি আঙুল তুলেছেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সেক্রেটারি ওয়াসিম আহমেদের বিরুদ্ধে। বাবুল সুপ্রিয় আরও দাবি করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ন্যূনতম সৌজন্যবোধ নেই। তারা যে ধরনের আচরণ করে সেটা ‘বিলো দা বেল্ট’ রাজনৈতিক আচরণকে বোঝায়। যদিও তাঁর স্পষ্ট কথা, ২ মে‌ এই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, কারণ সেদিন থেকে খেলা হবে না, শুধু বিকাশ হবে। 

আরও পড়ুন-  চিনে যেতে হলে নিতে হবে চিনা ভ্যাকসিনই! নয়া নির্দেশিকা জারি করল বেজিং

প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও একাধিক সাংসদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন জগন্নাথ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামানিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। অধিকাংশ জায়গায় দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে দল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য বেশ কয়েকজন সাংসদকে প্রার্থী করেছে তারা। যদি এখনও পর্যন্ত অশান্তির আঁচ কমেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *