কলকাতা: সবথেকে বড় দলবদল হয়তো আজ হয়ে গেল। মুকুল রায়ের পর এটাই হচ্ছে সবথেকে বড় চমক বাংলার রাজনীতির জন্য তা বলা যেতেই পারে। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন আসানসোলের সংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যসচিব
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, তারপর রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ দেখান। বিজেপিতে যোগদানের পর একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেছেন তিনি। কিন্তু চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে নির্বাচনে হারার পর সবথেকে বড় ধাক্কা হয়তো তিনি পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারিয়ে। তার পরেই তিনি বেসুরো হতে শুরু করেন এবং অবশেষে রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। কিন্তু সাংসদ পদ ছাড়েননি তিনি। তবে কোন রাজনৈতিক দল তো দূর বাংলার সাধারণ মানুষ হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি যে তিনি এইভাবে হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। রাজনীতি ছাড়ার পর তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। কিন্তু এখন বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, এটাই সত্যি।
এই বড় দলবদল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয় ক্ষোভ প্রকাশ করে যে পোস্ট করেছিলেন সেটা তাঁর দল অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোন ভাবে জড়িত ছিল না। বাবুল সুপ্রিয় আদতে ভারতীয় জনতা পার্টির খারাপটা বলেছিল, তাহলে সে নিজে ওই দলটা কি করে করত, প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তাই তখন তিনি যা যা কথা বলেছেন তার সঙ্গে বাবুলের এখনকার সিদ্ধান্তের কোন সম্পর্ক নেই বলেই স্পষ্ট করেছেন তিনি।