কলকাতা: দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পিকনিকের পর খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের পিকনিক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়েই দিলীপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবুল সুপ্রিম প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তারপর থেকে বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছে বৈকি। তবে বাবুল নিজেও চুপ থাকার লোক নন। তিনিও মুখ খুলে এবার দিলীপ ঘোষকে সরাসরি জোকার বলে দিলেন! এই নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, আক্রমণের নিশানায় তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী।
আরও পড়ুন- বাজেটের আগে শেয়ার বাজারে ধস, নিম্নমুখী সেনসেক্স-নিফটি
আসলে পিকনিক বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়র ‘ঝাড়মুড়ি’ খাওয়ার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি’ তো মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই শুরু হয়েছে৷ মমতাই ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেছিলেন৷ বাবুল ওই করে ফেঁসে গিয়েছিল। দিলীপের এই কথার প্রসঙ্গ টেনেই বাবুল এদিন টুইট করে লেখেন, ”আমি ১০০ বার ঝালমুড়ি খেতে পারি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করার স্বার্থে। এই দিলীপ ঘোষের মতো মানুষ যে মজাদার জোকার ছাড়া আর কিছু নয়, আমাকে দলে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল।” একই সঙ্গে বাবুল তাঁকে কটাক্ষ করে এও বলেন, আবার একটা ‘ভারবাল ডায়রিয়া’র উদাহরণ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বিষয় হল, ২০১৫ সালে কলকাতায় একটি কর্মসূচির শেষে মমতার গাড়িতে উঠেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পর ভিক্টোরিয়ার সামনে থেমে মুখ্যমন্ত্রী ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন বিজেপির তৎকালীন মন্ত্রী বাবুলকে। এই নিয়েই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই অবশ্য বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টুইট করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুল সেই টুইটে লেখেন, ”৫ মাস আগে আমি যা বলেছিলাম বঙ্গ বিজেপির সম্পর্কে এখন সাংবাদিক বৈঠকে সেটার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অজন্তা সার্কাসের পূর্ববর্তী ‘রিং মাস্টার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল অপরিপক্ক, অকথ্য, অনভিজ্ঞ জোকারদের উত্থান। এখন দেখতে থাকুন, গণ প্রত্যাখ্যানের পর বিজেপি বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে সময়ের আগেই”। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের অবস্থান এবং জয়প্রকাশ মজুমদারের বিবৃতির পর এমন বলেছিলেন বাবুল।