কলকাতা: আর পাঁচজনের মতো করে নয়৷ তাঁর দল বদলের ঘটনায় ছিল রাজকীয় আয়োজন৷ প্রথমে অভিষেকের কাছে গিয়ে দলে যোগদান এবং পরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক৷ একদা মোদী-শাহের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদানের আগে থেকেই নিজেকে ‘প্রথম এগারোর প্লেয়ার’ হিসেবে দাবি করে এসেছেন৷ এহেন বাবুলকে নিয়ে অনুগামীদের জল্পনার অন্ত ছিল না৷ তাঁরা আশাবাদী ছিলেন, কলকাতার পরবর্তী মেয়র সম্ভবত হতে পারেন দাদাই৷
কিন্তু সেগুড়ে বালি! শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার পর দেখা যায়, নাম নেই আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদের৷ তবে একান্ত আলোচনায় নেতারা মানছেন, কলকাতার সম্ভাব্য মেয়র হিসেবে উঠে আসা নামগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাবুল৷ বাদ যাওয়ার কারণ হিসেবে একাংশের দাবি, বাবুল এতদিন বিজেপির ঘরনায় ছিলেন৷ আগে কিছুদিন দলটাকে বুঝে নিন, তারপর…৷ অপর আরেকটি অংশের মতে, সদ্য দলবদলে আসা বাবুলকে টিকিট দিলে একদিকে যেমন দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলের মাত্রা বৃদ্ধি পেত তেমনই বাবুলকে মেয়র থুড়ি কলকাতার মুখ করা হলে বিজেপিকে হাতে ইস্যু তুলে দেওয়া হত৷ তাই পরিকল্পিতভাবেই বাবুলের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে৷
যদিও দলের অপর একটি সূত্রের খবর, বাবুলকে ফের আগামীদিনে লোকসভায় পাঠাতে চান দিদি৷ সংসদে বিরোধী আসনে মোদীর মুখোমুখি বসিয়ে দিতে চান বাবুলকে৷ তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দলীয়ভাবে জানানো হয়েছিল, দলের অন্দরে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং উন্নয়নে গতি আনতে এখন থেকে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে চলা হবে৷ সেই সূত্রেই রাজনৈতিক মহল তো বটেই তৃণমূলের অন্দরের একটা বড় অংশ মনে করেছিলেন, ফিরহাদ হাকিম এবারে পুরভোটের টিকিট নাও পেতে পারেন৷ অন্যদিকে বাবুল তৃণমূলে এলেও এখনও দলের বিশেষ কোনও পদ পাননি৷ স্বাভাবিকভাবেই, বাবুলের মেয়র হওয়ার জল্পনায় চড়ছিল পারদ৷