কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গুরুত্বপূর্ণ ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে যুবনেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কাকে ভবানীপুরে প্রার্থী করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্বের সেই প্রস্তাবে শেষমেশ সিলমোহর দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল একটা সময়ে বাবুলের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। প্রার্থীর প্রচারে ইতিমধ্যেই তারকা প্রচারকদের নাম সামনে এনেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়ের। কিন্তু, রাজনৈতিক সন্ন্যাসের কথা জানিয়ে দিন কয়েক আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন আসানসোলের সাংসদ। সেই সূত্রে, বিজেপির হয়ে প্রচারে অংশ নেবেন কিনা তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল।
বাবুল নিজেই সেই জল্পনার ইতি টানলেন। তারকা প্রচারকের তালিকায় তাঁকে রাখার জন্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাবুল বলেন, তিনি যে এখনও রাজনৈতিক সন্ন্যাস থেকে সরে আসেননি। তবে নিজে প্রচারে অংশ না নিলেও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কাকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেন নি বাবুল সুপ্রিয়। প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নাম ঘোষণার পরই নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বাবুল লেখেন- প্রিয়ঙ্কা ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ায় আমি খুব খুশি। ওঁর জন্য গর্ববোধ হচ্ছে। প্রিয়ঙ্কাকে সাহসী, যুক্তিবাদী, আত্মবিশ্বাসী বলেও নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্রের খবর, শুক্রবারই ঘনিষ্ঠদের কাছে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দেন, তাঁকে আর কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে না। সেই সূত্রে প্রিয়ঙ্কার প্রচারেও তিনি অংশ নেবেন না। দল ছাড়লেও বাবুল সুপ্রিয় এখনও বিজেপির সাংসদ, সেই সূত্রে তিনি দলেই রয়েছেন বলে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ এই প্রসঙ্গে বাবুলের বক্তব্য, সাংসদ হিসেবে আসানসোলের মানুষের জন্য, দলের সুনামের জন্য সাধ্যমতো কাজ করবো। তাই করছি। কারণ, আমি জানি যে, দলের টিকিটেই আমি সাংসদ হয়েছি। নিজের সিদ্ধান্তেন অটল থেকে বাবুল আরও জানান, যদি তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য দল কোনও শাস্তি দেয়, তাও মাথা পেতে নেবেন। -ফাইল ছবি৷