Aajbikel

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরোধিতা, ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন ববিতা সরকার

 | 
কীভাবে অঙ্কিতা অধিকারীর জালিয়াতি বুঝতে পারলেন, জানালেন মামলাকারী ববিতা সরকার

কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এমনটা হয়েছিল। কিন্তু হালে তাঁর নির্দেশেই ববিতা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁর চাকরি পেয়েছেন অন্য এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা রায়। এই রায়ের পর আদালত চত্বরেই কাঁদতে দেখা গিয়েছিল ববিতা সরকারকে। এবার তিনি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। 

ববিতার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল যে তিনি স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছিলেন। ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। এর পর সেই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি ববিতার চাকরি বাতিল করেন। চাকরি বাতিল হলে শিলিগুড়িরই বাসিন্দা অনামিকা ববিতার চাকরি পান। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ববিতা সরকার। তাঁর কথায়, চাকরি দেওয়ার এক বছর পর এইভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়া কাম্য ছিল না। তাই এখন তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। ববিতাকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ববিতা মূলত স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছিলেন৷ যার শতকরা হিসাবে দাঁড়ায় ৫৫ শতাংশ। অথচ, তাঁর আবেদনপত্রে স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব ৬০ শতাংশ বা তার বেশি দেখানো হয়। সেখানেই ঘটে হিসেবের গন্ডোগোল এবং ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ গণনাতেও ভুল হয়ে যায়। 

Around The Web

Trending News

You May like