হত্যা না দুর্ঘটনা? কী বলছে শর্বরী দত্তের ময়নাতন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট

হত্যা না দুর্ঘটনা? কী বলছে শর্বরী দত্তের ময়নাতন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট

কলকাতা: ফ্যাশন ডিজাইনিং দুনিয়ায় ইন্দ্রপতন৷ শর্বরী দত্তের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট৷ ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে শর্বরী দত্তের মত্যু রহস্য থেকে পর্দা উঠতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ৷

বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ৷ বয়স হয়েছিল ৬৩৷ পরিবারের দাবি, ওই দিন সকাল থেকে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছি না৷ রাত ১১.৩০টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতা ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগারে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ মুহূর্তেই পারিবারিক বন্ধু তথা চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়৷ পরে ঘটনাস্থলে যায় কড়েয়া থানার পুলিশ৷  শর্বরী দত্তের কানে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করেন পরিবারের সদস্যরা৷ আজ শুক্রবার তাঁর দেহে এনআরএস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় হয়৷

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাথায় রক্তক্ষরণের জন্যই শর্বরীদেবীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে৷ সেরিব্রাল স্ট্রোক, ইন্টারন্যাল ব্রেন হেমারেজ হয়েছে৷ ময়না তদন্তের ৩৬ ঘণ্টা আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ তবে, গোটা বিষয়টি সরকারি ভাবে এখনও জানানো হয়নি৷ কোনও অস্বাভাবিকতা নেই বলেও জানানো হয়েছে৷  যদিও, ময়নাতদন্তের আগে অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ৷ তবে, প্রশ্ন উঠছে, বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হলেও কেন তাঁর পরিবার আগে কিছু জানতে পারলেন না? পরিবারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করতে পারে পুলিশ৷ খবর সূত্রের৷

ফ্যাশন ডিজাইনিং দুনিয়ায় তাঁর দখল ছিল যথেষ্ট৷ মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের ফ্যাশন ছিল তাঁর প্রথম পছন্দের৷ মিশরীয় সভ্যতার ছবি থেকে শুরু করে মধুবনী, যামিনী রায় এমনকী দেশ-বিদেশের নানান সংস্কৃতির ছাপ রেখেছিলেন তাঁর পুরুষদের ফ্যাশনে মাধ্যে৷ প্রায় ৩০ বছর আগে ভারতীয় পুরুষদের জন্য ফ্যাশন নিয়ে ভাবতে শুরু করেন৷ নীল, সবুজ, কালো, হলুদ রঙিন ধুতির চল তাঁর হাত ধরে ফ্যাশন ডিজাইনিং দুনিয়া প্রবেশ করেছিল৷ ১৯৯৬ সালের তাঁর এই সৃষ্টির পর থেকে বদলে যায় পুরুষ ফ্যাশনের সংজ্ঞা৷ তাঁর ডিজাইন করা পোশাকে সাজেননি, এমন সেলিব্রিটির খোঁয় পাওয়া কঠিন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 15 =