Aajbikel

'কাজের চাপে' স্ট্রোকে মৃত্যু কর্মীর, অফিসের সামনে বিক্ষোভ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের

 | 
citu

কলকাতা: কাজে ব্যাপক চাপ এবং কর্মীকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছিল আগরপাড়া লেক্সাস মোটরের বিরুদ্ধে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তার এক কর্মী সলিল দাস স্ট্রোকে মারা যান এবং অভিযোগ করা হয় যে, সংস্থার অতিরিক্ত কাজের চাপের জন্যই এমনটা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে অটোমোবাইল ডিলারস পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (CITU)। তারা জানিয়েছিল, ২৩ তারিখ লেক্সাস মোটরের হেড অফিসে তারা বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই মতো আজ বিক্ষোভ প্রদর্শিত হল। 

আরও পড়ুন- ‘রামকৃষ্ণের নাম শুনেছেন? অভিযুক্তদের গুরু কে? খুঁজে বার করুন’, CBI-কে বিচারক

বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংস্থার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলতে যান সিআইটিইউ-এর নেতা শুভজিৎ দাশগুপ্ত, ইউনিয়নের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এবং সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়। তাদেরকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে মৃত কর্মী সলিল দাসের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে তারা। এছাড়া যাদের কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের বিষয়ে আবার ভেবে দেখা হবে এবং আগামী সপ্তাহে সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান হবে। ইউনিয়ন স্পষ্ট বলছে যে, শ্রমিকদের স্বার্থে তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। 

জানা গিয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়া লেক্সাস মোটরের কর্মী সলিল দাসকে ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। তাঁকে নিয়ে ৫২ জনকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। ওই দিন রাতেই সলিল দাসের স্টোক হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। এই ঘটনায় সলিলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অটোমোবাইল ডিলারস পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন পরিবারের হাতে ৪৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল। তাঁদের মূল দাবি, কাজ হারানো ৫২ জনকে এবং সলিল দাসের স্ত্রীকে চাকরি দিতে হবে। এছাড়া কর্মীদের বকেয়া বেতন ও ইনসেন্টিভ দিতে হবে। 

Around The Web

Trending News

You May like