কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে অটোমোবাইল সেক্টরে একটা বাজার তৈরি হয়েছে। সংক্রমণের কথা ভেবে বহু মানুষই গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে চাইছেন৷ যাঁদের সামর্থ আছে তাঁরা গাড়ি কিনছেন। ৪ চাকা হোক ২ চাকা, সব ধরণের গাড়িরই বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু অভিযোগ, বাজার উঠলেও বিভিন্ন সংস্থা সেলস ও সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ঠিক মতো বেতন দিচ্ছেন না৷
আরও পড়ুন- BREAKING: মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা, ৩১ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক
তাঁদের আরও অভিযোগ, পিনাকল হন্ডা, লেক্সাস মোটরস, বেঙ্গল হুন্ডাই, রয়েলস মোটরস-এর মতো সংস্থা লকডাউনের মধ্যে কর্মী ছাঁটাই করেছে। প্রায় সমস্ত সংস্থা বেতন, টিএ, ইনসেনটিভ, দিচ্ছে না। কর্মীদের অ্যাকাউন্টে পিএফ, ইএসআই এর টাকা জমা পড়ছে না। বেতন না পেয়ে ২ জন ইতিমধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। ২ জন কর্মী টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। করোনা আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়নি সংস্থা৷ বেশির ভাগ কোম্পানিই কর্মীদের ভ্যাক্সিনের দায়িত্ব নিচ্ছে না৷
সংস্থার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতেই গঠিত হয়েছে অটোমোবাইল ডিলার ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন৷ ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে Machino Techino Sales Ltd কে চিঠি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এতো দিন এই সেক্টরে কোনও ইউনিয়ন ছিল না। ইউনিয়নের জেরে নড়েচড়ে বসেছে ম্যানেজমেন্ট৷ জানা গিয়েছে, NEXA VIP তে ৩-৪ জন কর্মীর বেতন আটকে রাখা হয়েছিল৷ চিঠি পাওয়ার পরেই পুরো বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক ডিলারশিপ ভ্যাক্সিন এর ব্যাবস্থাও করেছে৷
ইউনিয়ন পক্ষ থেকে সমস্ত কোম্পানিকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করা হয় বলে জানান ইউনিয়ন এর সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ৷ ইউনিয়নের ডাকে আজ ১৪ অগাস্ট দুপুর ২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়৷ ইউনিয়নের তরফে যে সকল দাবি তোলা হয়েছে, সেগুলি হল-
• বকেয়া বেতন ও ইনসেনটিভ ও অন্যান্য ওয়েজ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। TA বাড়াতে হবে।
• লকডাউনের অযুহাতে বেতন কাটা ও ছাঁটাই করা চলবে না।
• সব ডিলারকে তাঁর কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা পিএফ ও ইএসআই চালু করতে হবে।
• কোম্পানিকে দায়িত্ব নিয়ে সব কর্মীদের টিকা দিতে হবে।