নতুন সংগঠন গড়ে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে উপাচার্যদের হাজিরা!

নতুন সংগঠন গড়ে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে উপাচার্যদের হাজিরা!

f51ecf27b7825069e05376929b07d4c7

কলকাতা: রাজ্যপালের ডাকা  সোমবারের বৈঠকে রাজভবনে হাজির হননি বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্য৷ কিন্তু, সোমবার রাজভবনের বৈঠক এড়িয়ে মঙ্গলবার তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে হাজিরা ৩ উপাচার্যের৷

আজ দুপুরে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে উপাচার্যদের নতুন সংগঠন তৈরি করার পর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূলের নাগরিক আইন বিরোধী ধর্না মঞ্চের সামনে তৃণমূলের মহাসচিবের সঙ্গে দেখা যায় তিন উপাচার্যকে৷ হাজির ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক৷ তৃণমূলের ধর্নায় সদ্য গঠিত পশ্চিমবঙ্গ উপাচার্য পরিষদেরের ৩ উপাচার্য ও শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷

তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে না উঠলেও পাশেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ও সিধো-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এই হাজিরা? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, উপাচার্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ এর বাইরে আর কিছু নয়৷

রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করল নতুন সংগঠন। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়ে তৈরি হল উপাচার্যদের নিজস্ব সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ উপাচার্য পরিষদ (ওয়েস্ট বেঙ্গল ভাইস চ্যান্সেলর্স কাউন্সিল)। গত ১২ জানুয়ারি এই পরিষদ গঠন হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল এই পরিষদের।  উপাচার্য পরিষদ সংগঠনের সভাপতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

পরিষদের সহ সভাপতি নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভশঙ্কর সরকার। উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এছাড়াও রয়েছেন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে আট জন। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মানোন্নয়নের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষার প্রসার এই পরিষদের লক্ষ্য। পরিষদের বৈঠকে রাজ্যপালের প্রসঙ্গ না থাকলেও রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় পরিষদের পক্ষ থেকে। উচ্চশিক্ষা দফতরের আওতাধীন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ১৩ জানুয়ারি দুপুরে রাজভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়।

উপাচার্যদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই বৈঠক শেষ পর্যায়ে ভেস্তে যায়। কারণ  'নতুন বিধি অনুসারে, উপাচার্যের সঙ্গে আচার্য সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন না। আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হলে তা উচ্চশিক্ষা দফতরের মারফত করতে হবে। কিন্তু ১৩ জানুয়ারির বৈঠকের ক্ষেত্রে সেই বিধি লংঘন করা হয়েছে।

যার জেরে ধনখড়ের ডাকা সোমবারের বৈঠকে যাওয়ার অনুমতি পাননি উপাচার্যরা। এবিষয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ওপর রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। পরিষদের আত্মপ্রকাশ এর দিন এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়ে উপাচার্যদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে উপাচার্যরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন। কোন সরকার বা রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *